বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরনো ছাত্র-ছাত্রীরা নবাগতদের সঙ্গে মজা করার অজুহাতে র্যাগিং নামের এক পৈশাচিক আচরণ করে থাকে, যা সভ্য কোনো দেশে কল্পনাও করা যায় না। অথচ বাংলাদেশে এমন আচরণ নিয়মিত ঘটে চলেছে। এতে নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের ভীষণ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়, মানসিক যন্ত্রণায় ভুগতে হয়। বিষয়টি গভীরভাবে ভেবে দেখার দাবি রাখে। রোববার (২৭ অক্টোবর) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আমি একজন প্রবীণ ও সমাজসচেতন রোটারি আন্তর্জাতিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সদস্য। আমরা অভিভাবকরা যদি নিজেদের আচার-আচরণে পরিশুদ্ধ ও সাবধান হই, সন্তানদের হিংসাত্মক কাজ থেকে বিরত রাখতে সচেষ্ট হই, তাহলে সমাজের পরিবর্তন আশা করা যায়। স্বাধীন দেশের প্রতিটি প্রবীণ সুনাগরিক ও সরকারকে এ বিষয়ে আরো সচেতন ও মানবিক হওয়া দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা সব শিক্ষার্থীর মধ্যে শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতার অনুশীলন দরকার। হিংসা-বিবাদ পরিহার করে ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কে সমাজ গড়তে ভূমিকা রাখতে হবে। এর গোড়াপত্তন হবে এখানেই। মানবতার গুণাবলি চর্চা করার সময় তো এখনই।
এইচ কে নাথ : পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম।