আমরা লেখাপড়া শিখছি। স্কুল, কলেজ বা ভার্সিটিতে যাচ্ছি। আমরা যারা ছাত্রছাত্রী, তাদের একটি পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র দেখে থাকে। ছাত্রজীবনে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়, তার ওপর ভবিষ্যতের অনেক কিছু নির্ভর করে। আমরা চেষ্টা করব, সবার মধ্যে যেন নৈতিক বিবেকবোধ কাজ করে। ছাত্রসমাজের কাছে যে শক্তি আছে সেই শক্তিকে যদি মানব কল্যাণে অথবা দেশসেবায় নিয়োজিত করতে পারেন, তাহলে সমাজের অনেক উন্নয়ন হবে। একজন ছাত্রের মধ্যে রাজনৈতিক চিন্তা থাকতে পারে অথবা লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন। যেসব ছাত্রছাত্রী রাজনীতি করেন তাদের উচিত হবে মানবিকতার রাজনীতি করা। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, কেউ যেন সুশিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য রাজনীতি করা উচিত। উত্তম চরিত্র গঠনের আন্দোলন করার মানসিকতা আমাদের ছাত্রছাত্রীদের থাকতে হবে। ছাত্রছাত্রীরা আরো কিছু কাজ করতে পারেন। নতুন একজন শিক্ষার্থী যখন কোনো বিদ্যাপীঠে যান তখন পুরাতন ছাত্রছাত্রীর উচিত তাকে ভালো ব্যবহার দিয়ে বিদ্যা অর্জনে সহায়তা করা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র ছাত্রদের দেখা যায় জুনিয়রদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে। আবার অনেক জুনিয়র আছেন তারা সিনিয়রদের সম্মান করেন না। প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীদের মনে রাখতে হবে তাদের ওপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম রক্ষার দায়িত্ব আছে। তারা যদি অন্যায় কাজকে সহায়তা করে তাহলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার। তাই এখন থেকে ভালো কাজ করতে হবে। ভালো চিন্তাচেতনা নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হবে। শুদ্ধ পরিবেশ সৃষ্টি করার প্রয়োজনে ছাত্রছাত্রীদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।
রূপম চক্রবর্ত্তী : পূর্ব নলুয়া, সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম।