শিক্ষাব্যবস্থার পরিমাণগত সম্প্রসারণ ঘটলেও মানগত সংকোচন ঘটেছে - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষাব্যবস্থার পরিমাণগত সম্প্রসারণ ঘটলেও মানগত সংকোচন ঘটেছে

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

ছোটবেলায় যখন স্কুলের ছাত্র ছিলাম তখন আমাদের শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে কেউ কেউ আমাদের মনে ও মগজে একটি বিশ্বাস প্রথিত করে দিয়েছিলেন যে, ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলররা অত্যন্ত নমস্য ব্যক্তি। তারা জ্ঞানে ও গুণে শিক্ষিত মানুষদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মানুষ। এ রকম শ্রেষ্ঠত্ব না থাকলে কারোর পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হওয়া সম্ভব নয়। রোববার (১০ নভেম্বর) যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।

নিবন্ধে আরও জানা যায়, আমাদের শৈশবের দিনগুলোর পর বড় একটা সময় পার হয়ে গেছে। যতই দিন যাচ্ছে আমরা ততই দেখছি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে এমন সব ব্যক্তি নিয়োগ পাচ্ছেন যারা ওই পদটির জন্য কতটুকু যোগ্য তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা অসঙ্গত নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভাইস চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ দেয়া হয়। ব্যতিক্রম হিসেবে আমরা দু-একটি নাম বলতে পারি।

যেমন ১৯৬৯-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন না। তার পিএইচডির মতো উচ্চ ডিগ্রিও ছিল না। কিন্তু তিনি নিঃসন্দেহে একজন জ্ঞানী ও গুণী ব্যক্তি ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নন বলে অজুহাত দাঁড় করিয়ে নিয়োগে কেউ বিরোধিতা করেনি। বরং সব মহলের কাছে তিনি সমাদৃত হয়েছিলেন। তিনি যখন ভাইস চ্যান্সেলর পদে অধিষ্ঠিত তখন গোটা পাকিস্তানে ইয়াহিয়ার সামরিক শাসন চলছিল। ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের ফলে ছাত্র-সমাজসহ সমগ্র দেশবাসীর মনে ও মেজাজে অনেক পরিবর্তন এসেছিল। সেই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী যেভাবে ছাত্র-শিক্ষকসহ সব মহলের কাছে সমাদৃত হয়েছিলেন তার নজির খুবই বিরল।

এই মানুষটি ইউরোপে অবস্থানকালে যখন জানতে পারলেন তার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রদের ওপর বর্বর পাকবাহিনী হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, সেই মুহূর্তেই তিনি ভাইস চ্যান্সেলর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এই মানুষটি স্বাধীন বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবেও তিনি ছিলেন গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মানের পাত্র। এরশাদ আমলে তিনি গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন নির্দলীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব হিসেবে। এমন একজন ভাইস চ্যান্সেলরকে নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি। এদের মতো মানুষ এখনও আমাদের ভালো কিছু ভাবতে, মহৎ স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রাণিত করে।

বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ ক’জন ভাইস চ্যান্সেলর নিযুক্ত হয়েছিলেন। তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে পণ্ডিত হিসেবে স্বীকৃত। এদের মধ্যে যাদের নাম উল্লখ করা যায়, তারা হলেন প্রফেসর মুজাফ্ফর আহমদ চৌধুরী, প্রফেসর আবদুল মতিন চৌধুরী এবং প্রফেসর ফজলুল হালিম চৌধুরী।

এসব পূজনীয় ব্যক্তির আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে দলীয়চিন্তা প্রাধান্য পেয়েছিল এমন অভিযোগ তাদের চরম শত্রুরাও করতে পারবেন না। ব্যতিক্রম হিসেবে দুয়েকটি ঘটনা যে ঘটেনি, তা নয়। তবে সেগুলো ছিল নিছক ব্যতিক্রম। এক সময় সাপ্তাহিক বিচিত্রা বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতে একটি ভিন্ন ধারার প্রবর্তন ঘটিয়েছিল। এই সাপ্তাহিক পত্রিকাটিতে দেশের বিভিন্ন ঘটনা-দুর্ঘটনা নিয়ে মাঝে মাঝে ঝাঁজাল সমালোচনা করা হতো। একবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার একজন শিক্ষক তার নিজ হাতে লেখা নোটিশে ‘সোমবার’ বানানটি লিখেছিলেন ‘সমবার’। বাংলা ভাষার শিক্ষকের হাতের বাংলা বানানের এই দুর্ভোগ সারা দেশে আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছিল। কারণ ওই শিক্ষকের হাতে লেখা নোটিশটির ফ্যাক্সিমিলি বিচিত্রায় ছাপা হয়েছিল।

বিচিত্রায় প্রায় একই সময়ে একটি কার্টুন বেরিয়েছিল। সেই কার্টুনে দেখানো হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে মানুষগুলো ভর্তি হচ্ছে তারা ছাগল হয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। এটি পরিস্থিতির অতিরঞ্জন ছিল সন্দেহ নেই। কিন্তু এর মধ্য দিয়ে যে মেসেজটি জাতিকে দেয়া হয়েছিল তা হল উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মানে অবনতি। আজ সবাই স্বীকার করবেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার পরিমাণগত সম্প্রসারণ ঘটলেও মানগত সংকোচন ঘটেছে মারাত্মকভাবে। এর বহুবিধ কারণ রয়েছে। শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত শিক্ষার গুণগতমান ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে এবং এই অবনমনের একটি ক্রমপুঞ্জীভূত ফল তৈরি হচ্ছে। এরই পরিণতি শিক্ষার গুণগতমান নিয়ে আমাদের হতাশা। একটা সময় ছিল যখন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যারা নেতৃত্ব দিতেন অর্থাৎ যারা হেড পণ্ডিত, হেডমাস্টার, প্রিন্সিপ্যাল ও ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন, তারা মানুষ হিসেবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছিলেন অনুকরণীয়। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে ততই অনুকরণীয় শিক্ষাবিদের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, শিক্ষা প্রশাসনেও নমস্য ব্যক্তিরা নেতৃত্ব দিতেন। একটা সময় পর্যন্ত শিক্ষা বিভাগের প্রধানকে বলা হতো ডাইরেক্টর অফ পাবলিক ইনস্ট্রাকশন বা ডিপিআই। এই ডিপিআই সাহেবরা কেবল শিক্ষা প্রশাসনের বিষয়গুলো দেখভাল করতেন না, তারা স্কুলের পাঠ্যপুস্তকের অনুমোদনও দিতেন।

যাই হোক, সময়ের প্রবাহে কাজ অনেক বেড়ে গেছে। সে কারণে শিক্ষা সম্পর্কিত অনেক দফতর তৈরি করতে হয়েছে। যেমন- ন্যাশনাল কারিকুলাম অ্যান্ড টেক্সটবুক বোর্ড এবং পাবলিক পরীক্ষা নেয়ার জন্য বেশ কয়টি শিক্ষা বোর্ড। ডিপিআই পদটির পরিবর্তে ডিজি বা ডিরেক্টর জেনারেল পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। একাধিক ডিজি তাদের নিজ নিজ চৌহদ্দির ভেতর দায়িত্ব পালন করছেন। এই ডিজির পদ ডিপিআইএ’র পদের সমপর্যায়ের, উচ্চতর পর্যায়ের কিংবা নিম্নতর পর্যায়ের সে বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। তবে এক সময় যেসব ব্যক্তিত্ব ডিপিআই পদটি অলংকৃত করেছিলেন তাদের মধ্যে ছিলেন- মিস্টার জাকারিয়া, খান বাহাদুর আবদুল হাকিম, প্রফেসর শামসুল হক, প্রফেসর ফজলুর রহমান এবং ফেরদাউস খান প্রমুখ। এদের পরে শিক্ষা প্রশাসনে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের প্রতি সম্মান রেখে বলা যায়, তাদের পূর্বসূরিরা কিঞ্চিৎ হলেও উজ্জ্বলতর ছিলেন।

আমি যে কথাটি বলতে চাচ্ছি, তা হল শিক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্ভাগ্যজনকভাবে নেতৃত্বের ক্ষেত্রে গুণগতমানে অবনতি ঘটেছে। এ সরল সত্যটি বেদনাদায়ক, সন্দেহ নেই। কিন্তু এই সত্যকে মেনে নেয়ার সৎ সাহস যদি আমাদের না থাকে তাহলে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটানোর জন্য আমরা কি সঠিক কোনো পদক্ষেপ নিতে পারব? এটা আত্মজিজ্ঞাসার বিষয়, কাউকে ছোট করা বা বড় করার বিষয় নয়। জাতীয় রাজনীতির নেতৃত্বের গুণে ও মানে এক ধরনের অবনতি লক্ষণীয়, একইভাবে সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রেও একই অবস্থা পরিলক্ষিত হয়। এটা সিভিল প্রশাসনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কিন্তু সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে ক্ষয়িষ্ণুতা পরিলক্ষিত হচ্ছে তার মূলে রয়েছে শিক্ষার গুণগতমানের সমস্যা। এক্ষেত্রে কিছু অগ্রগতি ঘটাতে পারলে অন্যান্য ক্ষেত্রেও অগ্রগতি সম্ভব হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ ঘোষণা করার আগে বেশ কিছুদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে ছাত্র ও শিক্ষকদের একাংশের আন্দোলন চলছিল। এই আন্দোলনের পেছনে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের কত শতাংশ জড়িত তার হিসাব কষা বাইরের কারও পক্ষে সম্ভব নয়। তবে ছাত্রলীগের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের নেতৃত্বের দাবি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অর্থের একটি হিস্যা ভাগাভাগি দরকষাকষিতে উপাচার্য জড়িত হয়ে পড়েছিলেন মর্মে গণমাধ্যমে আলোচনা হয়েছে। অভিযোগটি কতটুকু সত্য তা অনুসন্ধানের বিষয়। কিন্তু অভিযোগ ওঠার ব্যাপারটি নিঃসন্দেহে ভয়াবহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানতম ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ যদি ওঠে, তাহলে ওই ব্যক্তি যে আসনটি অলংকৃত করে আছেন সেই আসনের মর্যাদায় কি চিড় ধরে না? দুর্নীতি, দায়িত্বে অবহেলা, পক্ষপাতদুষ্ট প্রশাসন ইত্যাদি অভিযোগে বেশ কয়টি বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিতিশীলতার সম্মুখীন। এমন অস্থিতিশীলতা জন্ম নেয় নিরঙ্কুশ ক্ষমতা চর্চা থেকে। সমস্যাটা সেখান থেকেই উদ্ভূত। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হয় এবং সেখানে যদি সবকিছুর ঊর্ধ্বে মেধা ও নীতি-নৈতিকতাকে স্থান দেয়া হয়, তাহলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে তার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ফারজানা ইসলাম সাংবাদিক সম্মেলন করে যেভাবে ছাত্রলীগ কর্তৃক তাকে অবরোধ থেকে মুক্ত করাকে গণঅভ্যুত্থান বলে চিহ্নিত করেছেন তাতে বিস্মিত না হয়ে পারা যায় না। যতদূর জানি তিনি সমাজতত্ত্বের অধ্যাপিকা। সমাজতত্ত্বের শিক্ষক হিসেবে তার জানা থাকার কথা কোনটি গণঅভ্যুত্থান এবং কোনটি গণঅভ্যুত্থান নয়। অপরদিকে কাউকে অবরুদ্ধ করে রাখার কর্মসূচি কতটুকু গণতান্ত্রিক এবং কতটুকু মানবিক মর্যাদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ সেগুলো ভাবতে হবে। এটা খুব স্বাভাবিক যে, একটি আন্দোলন যখন হয় তখন সবকিছু ব্যাকরণ মেনে হয় না। ব্যাপারটি শুধু বাংলাদেশে নয়, পৃথিবীর আরও অনেক দেশে লক্ষ করা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়টি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ছাত্রছাত্রীরা। তারা সেশনজটের কবলে পড়তে পারে। আবার সেশনজটের কবল এড়াতে গিয়ে যেনতেন করে পাঠ্যসূচি সমাপ্ত করতে গেলে শিক্ষার মান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমার কাছে মনে হয়, বাংলাদেশের বেশ কয়টি বিশ্ববিদ্যালয় বেশ কিছু কাল ধরে উপাচার্য হটাও এবং উপাচার্য বানাও- এই মরণ খেলার মধ্যে আবদ্ধ হয়ে গেছে। এমন মরণ খেলা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য প্রয়োজন সরকার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ সব মহলের মধ্যে শুভবুদ্ধি জাগ্রত করা। কিন্তু সমস্যা হল- সামাজিক ইতিহাসের কোনো কোনো পর্যায়ে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যার ফলে শুভবুদ্ধি দৃষ্টিসীমার অনেক দূরে নিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। এই বিপদের মধ্যেই আমরা আছি।

ড. মাহবুব উল্লাহ : শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ।

ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার - dainik shiksha মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0043540000915527