দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মঈনুল হাসান রওশনীর নেতৃত্বে ৪ কর্মকর্তা মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শিক্ষাভবন পরিদর্শন করেছেন। এসময় তারা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রফেসর মোঃ মাহাবুবুর রহমান ও মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক মো: আবদুল মান্নানের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
মতবিনিয়মকালে দুদকের কর্মকর্তারা বদলি ও পদোন্নতিতে কিছু অনিয়মের বিষয় তুলে ধরেন। দুর্নীতি ঠেকাতে গত ছয় মাসে মহাপরিচালকের নেয়া পদক্ষেপ তুলে ধরলে দুদক কর্মকরর্তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন। ভুক্তভোগী শিক্ষকদের সমস্যা নিরসনে মহাপরিচালক অভিযোগকারী শিক্ষকদের সঙ্গে সরাসরি শুনানির ব্যবস্থা করেছেন এবং তার তত্ত্বাবধানে রাখা অভিযোগ বাক্সে আসা অভিযোগগুলো সমাধান করার চেষ্টা চালান।
দুদকের পক্ষ থেকে অবৈধ কোচিং ব্যবসায় জড়িত যে ২৫ জন শিক্ষকের তালিকা বছরখানেক আগে দেয়া হয়েছিল- তাদের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে মহাপরিচালক দুদক টিমকে জানান, তাদের (অভিযুক্ত শিক্ষকদের) শাস্তিমূলকভাবে ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে তাদের ঢাকায় আসার কোনও আবেদন বিবেচনায় আনা হবে না।
জানতে চাইলে মঙ্গলবার বিকেলে টেলিফোনে দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ‘দুদক কর্মকর্তারা সরকারি স্কুল ও কলেজে বদলি ও পদোন্নতিতে কিছু অনিয়মের বিষয়ে কথা বলেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের গৃহীত কতিপয় পদক্ষেপ শুনে সন্তোষ প্রকাশ করেন। দুদকের সহাযোগিতা চাওয়ার অনুরোধ করে যান তারা।’
দুদক কর্মকর্তারা মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক আবদুল মান্নানের সঙ্গেও কথা বলেন।