বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য রবিবার (৩ নভেম্বর) রাতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করেছেন। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস ছাড়া উপাচার্যের অপসারণে দৃশ্যত কোন অগ্রগতি না পাওয়ায় আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন আন্দোলনকারীরা।
শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আলোচনার পর সোমবার দুপুরে ‘উপাচার্য অপসারণ মঞ্চে’ সংবাদ সম্মেলনে করে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’। দুর্নীতির বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমন্বিত এই সংগঠনটির মুখপাত্র অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, শিক্ষামন্ত্রী তার নিজ বাসভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অচলাবস্থা নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনায় বসেছিলেন। আমারা জাবির সামগ্রিক বিষয়গুলো মন্ত্রীকে জানাতে চেষ্টা করেছি। বর্তমান উপাচার্যের দুর্নীতি, অনিয়ম, অযোগ্যতা, একগুয়েমি ও অগণতান্ত্রিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর সকল বিষয় তুলে ধরি। তিনি আমাদের জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।
অধ্যাপক রায়হান আরো বলেন, শিক্ষামন্ত্রী তার নিজের জায়গা থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে আমাদেরকেও ইতিবাচক জায়গা থেকে আন্দোলন প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি ছাড়া শুধুমাত্র অনুরোধের প্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করতে পারিনা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের এই আন্দোলন চলবে।
দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামে অপসারণ দাবিতে চলমান অবরোধে টানা দশ দিন প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। ২৪ অক্টোবর থেকে সোমবার পর্যন্ত ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনকারীরা টানা ১০ দিনের মতো নতুন ও পুরাতন দুইটি প্রশাসনিক ভবনই অবরোধ করে রাখেছে। ফলে এই দশদিন ভিসি, দুই প্রো-ভিসি, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার সহ কোন কর্মকর্তা-কর্মচারিই প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে পারেনি। কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম। তবে একাডেমিক কার্যক্রম অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে। অন্যদিকে, নতুন করে অবরোধের আওতায় এসেছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস। এতে পরীক্ষা সংক্রান্ত কর্মকা-ে জটিলতা ও স্থবিরতা তৈরী হচ্ছে।