শিক্ষামন্ত্রীর সামনে আসলেন না সেন্ট্রাল উইমেন্সের বিতর্কিত অধ্যক্ষ - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষামন্ত্রীর সামনে আসলেন না সেন্ট্রাল উইমেন্সের বিতর্কিত অধ্যক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

শিক্ষামন্ত্রী আসলেন। সুন্দর বক্তৃতা করলেন। কিন্তু কলেজের বিতর্কিত অধ্যক্ষ মো. ইফতেকার আলী মন্ত্রীর সামনে আসলেন না। মন্ত্রী যততক্ষণ কলেজের অনুষ্ঠানে ছিলেন ততক্ষণই অধ্যক্ষ নিজ কক্ষে এক ধরণের অবরুদ্ধ ছিলেন। নজিরবিহীন এ ঘটনা পুরান ঢাকার সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজে।

কলেজের শহিদ মিনার ও ছাত্রী কমনরুমের উদ্বোধন করানোর জন্য শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু বাস্তবে পুরনো শহীদ মিনারে রং করানো এবং পুরনো কমনরুমে ঘষামাজা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দৈনিক শিক্ষায় বিতর্কিত অধ্যক্ষ ইফতেকার আলীর নানা অপকর্ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এটি মন্ত্রীর নজরে আসলে তিনি আজ মঙ্গলবার কলেজের পূবনির্ধারিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েই অধ্যক্ষকে তার চোখের  সামনে আসতে নিষেধ করেন। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী দৈনিক শিক্ষাকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ভাষার মাসে ছাত্রীদের একটি ঐতিহ্যবাহী কলেজ আমি এসেছি। কোনও বিতর্কিত বিষয়ে আমি কিছু বলবো না।’

মন্ত্রী আরও বলেন, সেন্টাল উইমেন্স কলেজের একটি ঐতিহ্য রয়েছে। এর নামের সাথে বিরূপ কোন কিছু, অন্যায় কোন কিছু যাতে যুক্ত না হয়। অন্যায় কিছু হলে স্বচ্ছতা ও ন্যায় বিচারের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের একজন শিক্ষক বলেন, অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে মন্ত্রী চলে গেলে শিক্ষক ও ছাত্রীরা বলাবলি করতে থাকেন অধ্যক্ষ ইফতেকার আলী বরখাস্ত হয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী কলেজে আসলেও অধ্যক্ষ ক্যাম্পাসে উপস্থিত থাকার পরও কেন নিজ কক্ষে অবরুদ্ধ থাকলেন? ছাত্রীদের এ প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি অধ্যক্ষ ইফতেকার আলী। 

আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজে ইফতেকারের যত অপকর্ম

এদিকে কলেজের অধ্যক্ষের পক্ষের কয়েকজন শিক্ষক কয়েকজন ছাত্রী দিয়ে মিছিল করানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই শিক্ষক বিতর্কিত অধ্যক্ষের পক্ষে ছাত্রীদের দিয়ে মিছিল করিয়েছেন বলে জানা যায়। অধ্যক্ষ কর্তৃক অবেধভাবে নিয়োগ দেয়া কয়েকজন শিক্ষকও ইফতেকারের পক্ষে হইচই করেন।  

অপরদিকে বিতর্কিত অধ্যক্ষের বরখাস্তের দাবিতে ছাত্রীরা বিক্ষোভ করে। 

জানা যায়, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজ শিক্ষক হয়েও লিয়েনে অবৈধভাবে বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পদ বাগানোর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। তাকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দিয়ে কলেজটি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে শিক্ষা অধিদপ্তরের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। ইফতেকারের বিরুদ্ধে রয়েছে  অনেক অভিযোগ। সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ পদে ইফতেকার আলীর নিয়োগ অবৈধ। তাকে প্রচলিত বিধান অনুযায়ী  কলেজটিতে নিয়োগ দেয়া হয়নি। কলেজটিতে নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই সিলেবাসে অন্তর্ভুক্তকরণের অভিযোগও রয়েছে। মাসে আড়াইলাখের বেশি টাকা বেতন-ভাতা হিসেবে নিচ্ছেন ইফতেকার। 

অনুষ্ঠানে  বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, সাবেক সচিব মাহমুদা শারমীন বেনু এবং কলেজের উপাধ্যক্ষ আফরোজা আক্তার। 

স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0038321018218994