বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে সবাইকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। শুক্রবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় তিনি এ আহ্বান জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলার মানুষের মুক্তিই ছিল জাতির পিতার জীবনের মূল লক্ষ্য ও আদর্শ। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই তাঁর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, নিপীড়ন-শোষণমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু যারা তাঁর আদর্শের শত্রু ছিল, তারা ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্ট তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি প্রতিশোধ নেয়ার জন্য এবং মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য যাতে সফল না হয়, সেজন্য তাঁকে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। গত নয় বছরে শিক্ষাক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। সবাইকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। প্রায় ৩৩-৩৪ লাখ ছেলে-মেয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভ করছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেনন,দক্ষ জনশক্তি গড়ার লক্ষ্যে সরকার কারিগরি শিক্ষার উপর জোর দিচ্ছে। এজন্য শিক্ষার মান উন্নয়ন জরুরি। উচ্চশিক্ষার চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে সরকার শতাধিক বেসরকারি বিশ্বদ্যিালয় স্থাপন ও পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে। শিক্ষার মানউন্নয়নে তাদেরকে নজর দিতে হবে। শুধু জ্ঞান-প্রয়ুক্তি আমদানি নয়, রপ্তানির যোগ্যতাও অর্জন করতে হবে। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এজন্য মান উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি ও শিক্ষার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী।
বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম।