শিক্ষার মান ও লক্ষ্য নিয়ে যত প্রশ্ন - Dainikshiksha

শিক্ষার মান ও লক্ষ্য নিয়ে যত প্রশ্ন

ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ |

শিক্ষা কার্যক্রম একটি চলমান প্রক্রিয়া। কিছুটা ইতিবাচক দিক বলা যায়, দেশে সাক্ষরতার হার বেড়েছে। নারী শিক্ষার অগ্রগতি হয়েছে। এছাড়া বছরের প্রথম দিন স্কুলপর্যায়ে টেক্সট বুক বোর্ডের বই পৌঁছানোর কৃতিত্ব রয়েছে সরকারের। এর বাইরে সরকারি কৃতিত্ব বড় মুখ করে বলার মতো নেই। তবে সকল যুগেই সরকারপক্ষ বড় মুখ করে বলে থাকে অনেক কিছুই।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নজরদারি, টেক্সট বুক বোর্ডের কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট লেখকদের ঐকান্তিকতা এবং শ্রমে বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। তবে বইয়ের মানগত দিক এবং প্রকাশনার মান নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায় প্রতিবারই। বই লেখার ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত ত্রুটি, লেখক-সম্পাদক নির্বাচনে পক্ষপাতিত্ব এবং রাজনৈতিক সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি অনেক ক্ষেত্রে গ্রন্থ রচনাকে মানসম্মত রাখতে দেয়নি। আর দুর্নীতি এবং বাজেট সংকট বইয়ের উত্পাদন মানকে দুর্বল করে দিয়েছে।

প্রাথমিক ও জুনিয়র পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা পিইসি আর জেএসসি নামের পাবলিক পরীক্ষার উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার চাপে গলদঘর্ম হচ্ছে। এই প্রতিযোগিতামূলক সমাজে এসব পদ্ধতি অভিভাবকের পকেট কেটেছে আর রমরমা করেছে গাইড ব্যবসায়ী ও কোচিং ব্যবসায়ীদের পকেট। এর সঙ্গে নতুন ও ভয়ানক উপদ্রব হিসেবে ক’বছর লাগাতার প্রশ্ন ফাঁসের মধ্য দিয়ে কোমলমতি শিশুদের অনৈতিকতার হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতায়। প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি যখন দেশবাসী এবং ভুক্তভোগীদের কাছে স্পষ্ট তখনও ক্রমাগত অস্বীকার করে চলেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই অস্বীকারের অর্থই হচ্ছে ফাঁসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার পথ তৈরি করে দেওয়া। অতিসম্প্রতি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বোধদয় হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসকে অস্বীকার না করে ব্যবস্থা নেওয়ায় এর ইতিবাচক ফল দেখতে পাচ্ছি। আরেক সংকট স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে শতভাগ পাস আর উজ্জ্বল ফলাফলের বিস্ফোরণ দেখিয়ে সরকারের কৃতিত্ব জাহির করার প্রবণতা। এতে কলুষিত হচ্ছিল মেধাচর্চার জায়গাটি। এখন এসব থেকে সরে এসে বাস্তবে পা রাখার চেষ্টা করছে সরকার পক্ষ। নিম্ন বেতন কাঠামোয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হওয়ার জন্য মেধাবীদের আকৃষ্ট হওয়ার কোনো কারণ নেই।

লাখ লাখ কিশোর তরুণ কওমি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। অথচ এসকল মাদ্রাসার কারিকুলামে চোখে পড়ার মতো বড় কোনো সংস্কার আনতে পারেনি মাদ্রাসা বোর্ড আর সরকারের মন্ত্রণালয়। আধুনিকায়নের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলে মাদ্রাসা শিক্ষা অনেকটা ধুঁকে ধুঁকে চলছে।

ইংরেজিমাধ্যম স্কুল ও মূলধারার কারিকুলামে তেমন কোনো সমন্বয় সাধিত হয়নি। একইভাবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পদ্ধতি এবং পরীক্ষা পদ্ধতিতে সমন্বয়ের চেষ্টা করেনি ইউজিসি থেকে শুরু করে সংশ্লি­ষ্ট পক্ষগুলো। ফলে শিক্ষার এবং সার্টিফিকেটের মান নিয়ে বরাবরের মতো প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ।

প্রায় দেড় দশক ধরে ধর্মের নামে এক ধরনের উগ্র সন্ত্রাসবাদের কর্ষণও শুরু হয়েছে এদেশে। প্রথম দিকে আফগানিস্তানে তালেবান এবং মধ্যপ্রাচ্যে আল কায়েদা নামে উগ্র জঙ্গিবাদী দল মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। শোনা গিয়েছিল তখন বাংলাদেশ থেকে উগ্রবাদী মানসিকতার কিছুসংখ্যক তরুণ আফগানিস্তানে গিয়ে তালেবানদের দলভুক্ত হয়েছিল। ওরা বুঝতে পারেনি সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে যুদ্ধে সুবিধা পাওয়ার জন্য তালেবান আমেরিকারই তৈরি। আলকায়েদার সঙ্গেও সম্পর্ক হয়েছিল আমাদের এ ধারার তরুণদের। তারা কেউ কেউ নাকি ফিলিস্তিনেও যুদ্ধ করেছে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের একটি যোগসূত্রও এদের সঙ্গে থাকে। এসব প্রশিক্ষণ পাওয়া তরুণরা দেশে ফিরে জঙ্গিবাদের গোপন নেটওয়ার্ক তৈরি করতে থাকে। এর সূত্র ধরে আমরা বাংলাভাই, শায়খ আবদুর রহমানদের উত্থান দেখি। উত্থান ঘটে জেএমবি নামের সংগঠনের। পাশাপাশি হিজবুত তাহিরর, হুজি, আনসারউল্লাহ বাংলাটিম, ইসলামী ছাত্রশিবির ইত্যাদি সংগঠনের ব্যানারে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে দেখি। ধর্মের নামে চরম অধর্ম করে হিংসা ছড়িয়ে দিতে থাকে এসব সংগঠনের সদস্যরা। গোপনে অনেক তরুণকে বিভ্রান্ত করে অন্ধকারের চোরাবালিতে টেনে আনে। ধর্মের বিকৃত ব্যাখ্যায় মগজ ধোলাই করে এদের হাতে তুলে দেয় মারণাস্ত্র।

গুলশান ট্রাজেডির পর থেকে অনেকে বিস্মিত হয়ে বলছেন-লিখছেন যে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের না হয় সহজে ধর্মের নামে সন্ত্রাসী বানানো গেল। ওদের দারিদ্র্য, পারিপার্শ্বিকতা— এসব হয়তো অনুষঙ্গ হতে পারে। কিন্তু ইংরেজিমাধ্যমে পড়া ধনাঢ্য পরিবারের শিক্ষিত ছেলেটি কেমন করে জঙ্গিবাদের দীক্ষা নিয়ে মানুষ খুন করছে? একটু অনুসন্ধানী চোখে তাকালে দেখা যাবে উভয়েরই শিক্ষা সংকট অভিন্ন। আমাদের দেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাদ্রাসা শিক্ষায়, বিশেষ করে কওমি ধারার মাদ্রাসায় যুক্ত হয় দরিদ্র ও স্বল্পশিক্ষিত পরিবারের সন্তানরা। শৈশবে মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে। পারিবারিক শিক্ষা লাভের সুযোগ পায়নি। শিক্ষকদের কঠিন শাসনের ভেতর অনেকেরই স্বাভাবিক সুকুমারবৃত্তির বিকাশ ঘটেনি। আমাদের দেশের মাদ্রাসা কারিকুলামের অসম্পূর্ণতা শিক্ষার্থীর মধ্যে যেভাবে বদ্ধবুদ্ধির জন্ম দিচ্ছে তাতে এদের ভেতর থেকে নির্বাচিত তরুণদের জঙ্গিগুরুরা ধর্মের বিকৃত ব্যাখ্যার মাধ্যমে বিপথে চালিত করতে পারছে।

আমাদের দেশের ইংরেজিমাধ্যমের স্কুলগুলোর কারিকুলাম লক্ষ করি। এখানে পাশ্চাত্য শিক্ষার কারিকুলামের প্রভাব থাকলেও দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য জানার সুযোগ নেই বললেই চলে। এদেশের মুসলমান ঐতিহ্যগতভাবে যে ধার্মিক এবং অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মনোভাবাপন্ন সে সত্য এদের জানা হয়ে ওঠে না। পারিবারিক শিক্ষা এ ঘাটতি কিছুটা মেটাতে পারত। কিন্তু অনেক ধনাঢ্য পরিবারের বাবা-মা নিজেদের ব্যস্ততার কারণে সন্তানকে সান্নিধ্য দিতে পারেন না। তার বদলে তিনটে কোচিং সেন্টারে ভর্তি করিয়ে দেন। আমাদের অনেক কোচিং সেন্টারের পরিচালনায় জামায়াত-শিবিরের নিয়ন্ত্রণের কথা শোনা যায়। ইতিহাস ঐতিহ্য চর্চা থেকে বিচ্ছিন্ন বলে জঙ্গিবাদী অশুভ শক্তি এদের অনেককে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। ধর্মের মূল শিক্ষা ও সৌন্দর্যকে আড়াল করে সংকীর্ণ ব্যাখ্যায় এদের মগজ ধোলাই করে। কোচিং সেন্টার থেকেও কারো কারো মনোজগতে পরিবর্তন ঘটানো হতে থাকে। এদেরই অনেকে নামি-দামি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। ইদানীং বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেক বেশি ছাত্র ভর্তি হচ্ছে। এদের মধ্যে বড় অংশই সাধারণ ধারার স্কুল ও কলেজ থেকে পড়ে এসে ভর্তি হয়ে থাকে। আমি লক্ষ করেছি এ পর্যন্ত যারা জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে তাদের বেশিরভাগ এই সাধারণ ধারা থেকে আসা শিক্ষার্থী নয়। বড় অংশই ইংরেজিমাধ্যম স্কুল থেকে পড়ে আসা।

এ ধারার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বড় সংকট কারিকুলাম ও শিক্ষা পদ্ধতি। অধিকাংশ বড় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তর আমেরিকার শিক্ষা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামের সঙ্গে পার্থক্য হলো, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন হচ্ছে জ্ঞানচর্চা ও জ্ঞান সৃষ্টি করা। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বাজারমুখী। শিক্ষার্থীদের কর্পোরেট জগতে পৌঁছে দেওয়া। কঠিন একাডেমিক রুটিনে বাঁধা তিন মাসের সেমিস্টার (কোথাও ৬ মাসের)। প্রতি সেমিস্টারে একজন শিক্ষার্থী ৩ থেকে ৪টি কোর্স নিয়ে থাকে। কেউ ৫টিও নেয়। ৪টি কোর্স নেওয়াকে ধরলেও দেখা যাবে শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে ১২টি কুইজ, ৮টি মিডটার্ম, ৪টি কোর্সে ৪টি ফাইনাল দিতে হয়। এছাড়াও রিপোর্ট, টার্মপেপার, প্রেজেন্টেশন এসব তো আছেই। ফলে চাইলেও একজন শিক্ষার্থীর লাইব্রেরিতে গিয়ে জ্ঞানচর্চা করা বা মনের আনন্দে সাহিত্য পাঠ করার সময় থাকে না। হ্যান্ডআউট নির্ভর চর্চায় জ্ঞানের গভীরে যাওয়ার সুযোগ থাকে না। পুরো সেমিস্টারে পরীক্ষা প্রস্তুতিতেই ব্যস্ত থাকতে হয়।

এভাবে দুর্বল শিক্ষাপদ্ধতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে একদিকে যেমন সুকুমারবৃত্তি জাগাতে পারছে না, তেমনি দেশপ্রেম ও মানবপ্রেমহীন বদ্ধবুদ্ধির নাগরিক তৈরি করছে। আমরা মনে করি স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সকল স্তরে যদি সাহিত্য, ইতিহাস, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং কোরান হাদিসের আলোকে ইসলামের মানবিক শিক্ষা জানার সুযোগ হতো— তবে জঙ্গিবাদী জ্ঞানপাপী দীক্ষাগুরুদের পক্ষে শিক্ষার্থীদের ধর্মের নামে সন্ত্রাসী বানানো সহজ হতো না। সম্প্রতি ইউজিসি সকল ধারার বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস’ এবং ‘বাংলা ভাষা’ ধরনের কোর্স বাধ্যতামূলক করেছে। এটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে গৃহীত ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস’ বিষয় দিয়ে দেশ ও ঐতিহ্য জানার খুব সীমিত সুযোগই সৃষ্টি হতে পারে। প্রয়োজন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিষয়ক কোর্স বাধ্যতামূলক করা— যা পাথরযুগ থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত প্রলম্বিত হবে। নির্বাচিত বিষয়ের আলোকে পাঠ্যক্রম বিন্যাস করে বাংলাদেশের সামাজিক সাংস্কৃতিক ইতিহাস ও প্রত্ন ঐতিহ্য সম্পর্কে ধারণা দেওয়া সম্ভব।

এসব বাস্তবতায় আমরা সংশ্লিষ্ট নীতি-নির্ধারকদের কাছে অনুরোধ রাখব ইংরেজিমাধ্যম স্কুল ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কারিকুলাম সংস্কার করে উপরে উল্লিখিত বিষয়গুলো বাধ্যতামূলকভাবে পাঠদান নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করবেন। শিক্ষা পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। পরিবার যদি সতর্ক থাকে, পারিবারিক শিক্ষা শিশুর ব্যক্তিত্ব বিকাশকে যদি সাহায্য করে এবং স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম যদি জীবনমুখী হয়—ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতন করতে পারে তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যুক্তিবাদী মনের বিকাশ ঘটবে। এতেই যে জঙ্গিবাদ নির্মূল হবে তেমন নয়। তবে সচেতন তরুণদের মগজ ধোলাই করা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়বে।

 

লেখক :অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.004331111907959