ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী জড়িত নয়। গতকাল মঙ্গলবার (২৩শে জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ভাঙচুর, শিক্ষক-কর্মচারিদের সাথে অশালীন আচরণ ও উপাচার্যকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের চেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থীর দ্বারা সংঘটিত হয়নি। বাইরের কিছু সন্ত্রাসী বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করতে এমন হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বুধবার (২৪শে জানুয়ারি) দুপুরে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
উপাচার্যের প্রশাসনিক ভবনে সংঘটিত ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বলেছে, গতকাল মঙ্গলবারের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়কে অশান্ত করতে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের অপপ্রয়াস। প্রশাসনিক ভবনে ভাঙচুর, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদের ক্ষতিসাধন এবং শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ ও উপাচার্যকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের চেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী দ্বারা সংঘটিত হয়েছে বলে শিক্ষক সমিতি মনে করে না।’ নির্বাচনের আগে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এমনটা করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
শিক্ষক সমিতি বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষকে সাহায্য-সহযোগিতা করতে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে। এ ছাড়া প্রকৃত সত্য তুলে ধরতে দেশের গণমাধ্যমের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কোনো দুষ্টচক্র যেন দেশের চলমান উন্নয়নের ধারাকে ব্যাহত করতে না পারে, সে জন্য গণমাধ্যমকে সত্য ঘটনা প্রকাশের মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।’
ছাত্রী নিপীড়নের বিচারসহ চার দফা দাবিতে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানকে অবরুদ্ধ করায় ছাত্রলীগের মারধরের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। হামলা ও মারামারির ঘটনায় প্রায় অর্ধশত আহত হন। তাঁদের মধ্যে বাম ছাত্রসংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪০ জন। আর ছাত্রলীগের ১২ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।