রামগঞ্জে শাহমিরান আলিম মাদরাসার ছাত্রী মেহেরুননেছা জান্নাতকে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ইউপি মেম্বারসহ ১২জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (2৮ জানুয়ারি) ৩টায় উপজেলার ১নং কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বিঘা শাহমিরান আলিম মাদরাসা প্রাঙ্গণে।
সৃষ্ট ঘটনায় রামগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই মনির হোসেন ও এএসআই তাজুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সৃষ্ট ঘটনায় মাদরাসার প্রিন্সিপাল এটিএম আবদুল্যা রামগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শাহমিরান আলিম মাদরাসায় সোমবার বিদায় ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠান চলাকালীন দাখিল পরীক্ষার্থী মেহেরুননেছা জান্নাতকে তার তালতো ভাই মুরাদ হোসেন তাকে ফুল দেয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় মাদরাসা ছাত্ররা তা দেখে ফেলায় মুরাদসহ তার তিন বন্ধুকে বেদম মারধর করে। একপর্যায়ে মুরাদ ও তার সহযোগীরা দৌড়ে পার্শ্ববর্তী মহিলা মেম্বার রাবেয়া আক্তারের বসত ঘরে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এসময় মাদরাসা ছাত্র এবং এলাকাবাসী মহিলা মেম্বারের বসতঘর ভাঙচুর করার একপর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংবাদ পেয়ে পশ্চিম বিঘা গ্রামের মেম্বার আনোয়ার হোসেন এগিয়ে আসলে তাকেও লাঞ্ছিত করা হয়। একপর্যায়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পশ্চিম বিঘা গ্রামের মাদরাসা ছাত্র সাকিল, শাওন, পিয়াস, রুবেল, সালাউদ্দিন, রিপন হোসেন, পূর্ব বিঘা গ্রামের মুরাদ হোসেন, আক্তার হোসেন, সুমন হোসেন, মহিলা মেম্বার রাবেয়া আক্তার, পশ্চিম বিঘা গ্রামের মেম্বার আনোয়ার হোসেন সহ ১২ জন আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে মাদরাসার প্রিন্সিপাল এটিএম আবদুল্লাহ জানান, ঘটনাটি মাদরাসার ভিতরে হয়নি। আমার মাদরাসার ছাত্রীকে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে বাহিরে রাস্তার ওপর মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তবে বিস্তারিত বলতে পারবো না। রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো. তোতা মিয়া জানান, বিষয়টি প্রেম ঘটিত ব্যাপার। এক মাদরাসা ছাত্রীকে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত।