গঙ্গাচড়ায় বিভিন্ন মাদরাসার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির আবেদন করার একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে আল-মামুন নামে এক মাদরাসা ছাত্র উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে।
অভিযোগে জানা যায়, মামুন এবছর পাইকান আকবরীয় ইউসুফিয়া ফাজিল মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৪ জিপিএ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির আবেদন করতে গিয়ে জানতে পারে তাকে ওই মাদরাসায় মানবিক বিভাগে আগেই ভর্তির আবেদন করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই মাদরাসার আল-মামুন ছাড়াও সাকিব, আলামিন, রমজান ও আনোয়ারসহ অনেক শিক্ষার্থীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভর্তি সম্পন্ন করেছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া বাগডোহরা দাখিল মাদরাসার সাদেকুল নামে আর এক ছাত্রের ভর্তি করানো হয়েছে অন্য মাদরাসায়। এ অবস্থায় চরম বেকায়দায় পড়ে শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্যে হতাশাও দেখা দিয়েছে। অনেক মাদরাসার এরকম কাজ করছে বলে জানা গেছে।
বাগডোহরা দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা সাইয়েদুর রহমান বলেন, এরকম শুনেছি। এক ছাত্রীর অভিযোগ করে, সে অনলাইনে ভর্তি আবেদন করতে গিয়ে দেখে তার ভর্তি আগেই করানো হয়েছে পাশের এক মাদরাসায়।
পাইকান আকবরীয় ইউসুফিয়া ফাজিল মাদরাসার সুপার মাওলানা আব্দুল বাকের বলেন, আমি আলিম স্তরের শিক্ষকদের বলেছি আলিম পর্যায়ে ছাত্রছাত্রী না থাকলে আপনাদের বেতন সরকার বন্ধ করে দেবে। যে যে ছাত্ররা এবারে দাখিল পাস করেছে আপনারা তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে ভর্তি করান। তিনি আরও বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে আলিম পর্যায়ে বিজ্ঞান বিভাগ নেই। কিন্তু শিক্ষকরা আল-মামুনকে মানবিক বিভাগে আগেই ভর্তি করিয়েছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সেলিনা বেগম অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আসলে মাদরাসাগুলোতে ছাত্র সংখ্যা কমার কারণে তারা এরকম করছে। তবে এটা ঠিক না। শিক্ষার্থীদের তো স্বাধীনতা আছে। আর এ বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে বোর্ডের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের তেমন করার কিছু নেই।