মির্জাগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষার্থীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদনের অভিযোগ পাওয়া গেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। কৌশলে শিক্ষার্থীদের রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর সংগ্রহ করে অনলাইনে আবেদন করেছে ওই সব প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা। এতে বিপাকে পড়েছে অনেক শিক্ষার্থী। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ৬ জন শিক্ষার্থী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, রামপুর ফাজিল মাদ্রাসা থেকে এবার দাখিল পরীক্ষায় পাস করেছে মো. নাজমুল হাসান সে ভর্তি হতে ইচ্ছুক মির্জাগঞ্জ উপজেলার আখতার হোসেন চৌধুরী মেমোরিয়াল কলেজে কিন্তু তার অজান্তে এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে পার্শ্ববর্তী বেতাগী উপজেলার রহমতপুর ফাজিল মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়েছে। ঠিক এভাবে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মোসা. সারমিন আক্তারকে পশ্চিম সুবিদখালী আলিম মাদ্রাসায়, রিয়ামনি আক্তারকে ভাজনা কদমতলা মাদ্রাসায়, পাখি আক্তারকে ভাজনা কদমতলা মাদ্রাসায়, আয়শা সিদ্দিকাকে রামপুর ফাজিল মাদ্রাসায় এবং ফাতিমা আক্তারকে হাওলাদার ফাউন্ডেশন ওমেন্স কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য আবেদন করতে না পারায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা মানুষিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। এ ব্যাপারে নুরুমিয়া দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী রিয়া মনি জানান, আমার অজান্তে আমাকে ভাজনা কদমতলা আলিম মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়েছে অথচ এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ্ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভর্তি করা অথবা ভর্তির আবেদন করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। এ ব্যাপারে ৬জন শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ওই সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস মিয়া দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি বাতিল করা হবে। ইতোমধ্যে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে শোকজ দেয়া হয়েছে।