মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ডুমুরিয়া উপজেলার মাধ্যমিক স্কুলের অধিকাংশ প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাছে নিষিদ্ধ নোট গাইড বই কেনার জন্য নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার-পাশাপশি বসে নেই মাধ্যমিক শিক্ষা সমিতি, তাদের সিদ্ধান্তে কোম্পানির ইংলিশ ও বাংলা গ্রামার বই শিক্ষার্থীদের কেনার জন্য শিক্ষকরা বলে দিয়েছেন।
যে কারণে গরিব ও মধ্যবিত্ত্বের অধিকাংশ অভিভাবকরা টাকার অভাবে পড়েছে বেপাকে। ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে মাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা ৬৫টি, মাদরাসা ২৮টি এবং প্রাথমিক স্কুলে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন নিষিদ্ধ গাইড বই বিক্রয়কারীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন বইয়ের দোকানে ভিড় করতে শুরু করেছেন।
মোটা অঙ্কের অফারের লোভ দেখিয়ে স্কুল প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষককে ম্যানেজ করে শিক্ষার্থীদের কাছে অধিক মূল্যের নিষিদ্ধ গাইড বই কেনার জন্য বাধ্য করা হচ্ছে। যে সকল কোম্পানির অবৈধ গাইড বইয়ের নাম প্রকাশ্যে বিক্রয় করা হচ্ছে। এর মধ্যে লেকচার, জুপিটার, পপি, ফুলকুড়ি, অনুপম, এবং উপজেলা শিক্ষা সমিতির সিদ্ধান্তের টুডেস কমিউনিকেটিভ ইংলিশ গ্রামার, ট্রানসিলেশন অ্যান্ড কমপজিসন্স এবং শব্দশৈলী বাংলা-ভাষার ব্যাকরণ ও নিমিত্তি)।
গত ২৬ জানুয়ারি সকাল ৯টা ৩০মিনিটে উপজেলার শোভনা বিরাজময়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. আনিফ মোল্ল্যা ৭ম শ্রেণী, জয় হালদার ৮ম শ্রেণী, মো. আওয়ারন সরদার ৬ শ্রেণী, ও অর্পন সরকার ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের স্যার কাক্তিক চন্দ্র দাস, চায়না বিশ্বাস, বিচিত্রা বিশ্বাস, প্রসেন ঢালী ও মাইকেল মল্লিক প্রতি ক্লাসের শিক্ষার্থীদের লেকচার গাইডসহ শিক্ষা সমিতির বাছাইকৃত ইংলিশ ও বাংলা গ্রামার বই কেনার জন্য ব্লাক বোর্ডে লিখে দিয়েছেন।
ওই বইয়ের নাম খাতায় লিখে অভিভাককে কিনতে বলেছেন এবং দশম শ্রেণীর ছাত্রী পূর্ণিমা কর্মকার ও ছন্দা মল্লিক বলেন, গতবছর নিষিদ্ধ লেকচার গাইড বই আমার কেনা রয়েছে। অধিক মূল্যের অবৈধ গাইড বই কিনতে অভিভাবকরা হিমশিম খাচ্ছে। সরকারের নিষেধ থাকার পরও প্রতিবছর বছর গাইড বই বিক্রি হচ্ছে দেখার কেউ নেই।
উপজেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা অফিসার বলেন, নিষিদ্ধ নোট গাইড কোন স্কুলে ব্যবহার করতে পারবে না। যদি কেউ ব্যক্তিগত কিনতে চায় সেটা তার ব্যাপার, কিন্তু প্রকাশ্যে শিক্ষার্থীদের কোন শিক্ষক নিষিদ্ধ নোট গাইড কেনার কথা বললে সেটি আমি দেখছি।