গাইবান্ধায় আবাসিক শিক্ষার্থীদের আটকে রেখে শাহীন ক্যাডেট স্কুল এন্ড কোচিং নামে একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গত শুক্রবার রাতে বন্ধ করে পালিয়ে গেছে কর্তৃপক্ষ। ফলে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক-কর্মচারী এমনকি বাড়ির মালিকও পড়েছে চরম বিপাকে।
খবর পেয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক সেবাষ্টিন রেমার নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোছা. রোখছানা আকতার, গাইবান্ধা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রওনক জাহান এবং গাইবান্ধা সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
গাইবান্ধা সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার জানান, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সাল গাইবান্ধা শহরের মাস্টারপাড়ায় চারতলা একটি ভবনের দুটি তলা ভাড়া নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্লে-গ্রুপ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ১শ’ ৩৩ জন শিক্ষার্থী ছিল। তারমধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থী রয়েছে ১৫ জন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের সেপ্টেম্বর-২০১৮ মাসের মাসিক বেতন আদায় করে ওই আবাসিক ১২জন শিক্ষার্থীদের তালাবদ্ধ করে শুক্রবার রাতেই পালিয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও হিসাব রক্ষক। বাড়ির মালিক আটকে পড়া এই তিনজন ছাত্রী ও ১২ জন ছাত্রকে শনিবার সকালে তালা খুলে তাদেরকে মুক্ত করে।
তিনি আরো জানান, এদিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ২৫ জন শিক্ষক-কর্মচারীর আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের বেতন এবং তাদের প্রতিমাসে বেতন থেকে কর্তৃনকৃত জমা টাকাও পরিশোধ করা হয়নি। এছাড়া দু’মাসের বাড়ি ভাড়া ৮৬ হাজার টাকা এবং ৭০ হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রেখেছে। ঘটনাটি নিয়ে গাইবান্ধার সর্বমহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জেলা প্রশাসক সেবাষ্টিন রেমা জানান, ওই প্রতিষ্ঠানটির মূল পরিচালক মাহমুদুল হাসান শাহীনের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেন। তাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন। অন্যথায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি তাকে জানান।