করোনাকালে শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া মওকুফ ও যথাযথ প্রস্ততি ছাড়া অনলাইন শিক্ষার নামে প্রহসন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী। সোমবার (৭ জুলাই) বেলা ১২টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ দাবিতে মানববন্ধন করে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অতুলন দাস আলো, সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল মোতালেব জুয়েল, সহ-সাধারণ সম্পাদক শাফিউর রহমান সজীব, ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি ইয়াতুন্নেসা রুমা, ঢাকা জেলা শাখার সভাপতি ও ওয়ার্ল্ড বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগঠক লিখন মোরশেদ প্রমুখ। এছাড়া সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী সংহতি’র সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু মিয়া ও বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর কেন্দ্রীয় নেতা মামুন হাওলাদার মানিক।
এসময় বক্তারা বলেন, করোনা ভাইরাস সমগ্র দেশকে স্থবির করে দিয়েছে। মানুষের স্বাভাবিক আয় তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। বেসরকারি খাতে কর্মরত অসংখ্য মানুষ চাকরি হারিয়েছে। হিমশিম খাচ্ছে পরিবারের খরচ চালাতে। পরিবারের অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে শিক্ষার্থী উপর। এমন সময় শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেতন, সেমিস্টার ফি পরিশোধ করলেও তাদের বাড়তি ইন্টারনেটের খরচ বহন করতে হচ্ছে। অধিকাংশ শিক্ষার্থীর নেই স্মার্টফোন, কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ও উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের অভাব, ইন্টারনেটের ধীর গতি ও উচ্চমূল্য, প্রযুক্তির অভাবে দেশের প্রায় অর্ধশত শতাংশেরও বেশি শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তার উপরে চলমান তথাকথিত অনলাইন শিক্ষার মান নিয়েও রয়েছে অনেক প্রশ্ন। এক্ষেত্রে প্রথমে অনলাইন শিক্ষা
কার্যক্রমের পাঠদান ও পরীক্ষার মান ঠিক করতে হবে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে হবে, দিতে হবে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি সহায়তা।
বক্তারা আরও বলেন, সারাদেশে বিশেষ করে বিভাগীয় শহরগুলোতে শিক্ষার তাগিদে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রবাস বা ছাত্রীনিবাস না থাকায় কিংবা সীমিত আসনের কারণে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বাসায় মেস করে ভাড়া থাকতে হয়। করোনাকালে অধিকাংশ শিক্ষার্থী মেস ভাড়া দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এ ব্যাপারে আমরা বারবার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কিন্তু সরকারের উদাসীনতার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে মেস বাসা মালিক কর্তৃক শিক্ষার্থী লাঞ্চিত হওয়ার মতো চিত্র আমাদের সামনে এসেছে। এ সমস্যা নিরসনে করোনার সময়ে শিক্ষার্থীদের মেস বাসা ভাড়া মওকুফে সরকারের যথাযথ নির্দেশনা দাবি করে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।