তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, মাধ্যমিক পর্যায় থেকেই শিক্ষার্থীরা যেন শুধু পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে, সেজন্য স্কুল অব ফিউচার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম ডিজরাপটিভ টেকনোলজি বিষয়ে হাতেকলমে শিক্ষা নিয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দিতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী গতকাল ডিজিটাল প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে ফাউন্ডার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ আয়োজিত ভিআইপি লঞ্চ মিকচার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১১ বছরে দেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সঠিক অবকাঠামো গড়ে ওঠার কারণেই শত শত স্টার্টআপ ও তরুণ স্বপ্নপূরণে অনুপ্রেরণা পাচ্ছে। সরকার দেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাঙালির ডিএনএতে আছে উদ্যোক্তা হওয়ার উপাদান। সে কারণেই গ্রামের মা-বোনেরা ঘরে তৈরি এক বয়াম আচার অনলাইনে বিক্রি শুরু করেছে। অন্যদিকে শহরের তরুণ উদ্যোক্তারা ক্লাউড কম্পিউটিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লকচেইনের মতো প্রযুক্তি নিয়ে নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে আসছে।
ফাউন্ডার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সিইও বিজন ইসলামের সভাপতিত্বে চতুর্থবারের মতো আয়োজিত এই স্টার্টআপ এক্সিলারেটরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বেটার স্টোরিজের চিফ স্টোরি টেলার মিনহাজ আনোয়ার। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউল্যাবের সহযোগী অধ্যাপক এবং সেন্টার ফর এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড সোসাইটি পরিচালক সাজিত অমিত, পাঠাও সিইও হুসাইন ইলিয়াস, সহজ সিইও মালিহা কাদির, প্রাভা হেলথ সিইও সিলভানা কাদের সিনহা, সেলিমা অ্যালেন, খোবাইব চৌধুরী, কাজী মাহবুব হাসান, টিনা জাবীন।