শিক্ষার্থীসহ স্কুল বিক্রির বিজ্ঞাপন! - Dainikshiksha

শিক্ষার্থীসহ স্কুল বিক্রির বিজ্ঞাপন!

নিজস্ব প্রতিবেদক |

পুঁজিবাদী এই যুগে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য থেকে শুরু করে বিলাসী দ্রব্যসহ অনেক কিছুই বেচাকেনা হয়। কিন্তু তাই বলে শিক্ষার্থীসহ গোটা একটি স্কুল বিক্রির কথা শুনে পিলে চমকে যাবার মতো অবস্থা হলেও বাস্তবেই স্কুল বিক্রির এমন একটি বিজ্ঞাপন দেখা গেছে। যা ইতোমধ্যেই ফেসবুকে ভাইরাল।

গতকাল সকাল থেকেই ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ওয়ালে ওয়ালে একটি ছবি ঘুরছে। সেখানে লেখা আছে- ‘বিক্রয় হইবে হাইস্কুল/ প্লে-দশম শ্রেণী চলমান/ ৪৫০ জন ছাত্রছাত্রীসহ’। বিজ্ঞাপনদাতার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য একটি মোবাইল নাম্বারও দেয়া হয়েছে সেই বিজ্ঞাপনের নিচে। তবে বিজ্ঞাপনে স্কুল অথবা স্থানের নাম উল্লেখ না থাকায় স্কুলটির অবস্থান এবং বিজ্ঞাপনের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য বিজ্ঞাপনে উল্লেখিত নাম্বারে ফোন দিলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ট্রু কলার অ্যাপসে সেই নাম্বারের স্বত্ত্বাধিকারীর নাম ‘ওয়াহিদ রামপুরা’ ভেসে উঠে।

ফেসবুকে এই ছবি শেয়ার করে অনেকে নানা মন্তব্য করছেন। তারা বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে ছবির মিল খোঁজার চেষ্টা করছেন। আহমেদ মহিউদ্দিন নামে একজন ফেসবুকে ছবিটি শেয়ার করলে সেখানে রয় সুবির নামে একজন মন্তব্য করেন, ‘এটা দেশের টোটাল এডুকেশনাল সিস্টেমকে রিপ্রেজেন্ট করছে।’ সনজিত চক্রবর্তী নামে একজন তার নিজের টাইমলাইনে ছবিটি শেয়ার করলে সেখানে দেবনাথ মৃদুল নামে একজন মন্তব্য করেন- ‘এই প্রথমবার এমন প্রস্তাব শুনলাম।’ আবদুল হান্নান নামে একজন ফেসবুকে এ ছবি পোস্ট করলে সেখানে এহতেশামুল হক নামে একজন মন্তব্য করেন- ‘আচ্ছা, ছাত্রছাত্রী ছাড়া কত, সহ কত? একদর নাকি বাড়াবাড়ি করা যাবে?’ ফেরদৌস নামে এক ব্যবহারকারীর বক্তব্য- ‘স্কুল বিক্রি হচ্ছে না। বিক্রি হচ্ছে বিবেক, মানবতার মেরুদন্ড।’

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মাকসুদ রানা মিঠু ছবিটি পোস্ট করে লিখেন- ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্রিটা এভাবে কবে হবে! এ জাতি অপেক্ষায় রয়েছে অপেক্ষক হয়ে। যদিও শিক্ষার কোনকিছু নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে। নাইটকোর্স চালুতে সব ধ্বংসের সম্মুখীন। কিছু মেধাবী ছাত্র ভর্তি করা আর চাকরি প্রার্থী তৈরি ছাড়া আর কিছুই জন্ম দিতে পারে না। আবার মাঝেমধ্য এরমধ্যে থাকে কিছু ভূয়া ছাত্র ভর্তি। এছাড়া ডাকসুর মাধ্যমে নাইটর্কোসকে দিল স্থায়ী বৈধ্যতা যাতে করে কেউ এই বাণিজ্যিক পড়াশোনার বিরোধিতা করতে না পারে। যার যার স্বার্থের কথা চিন্তা করে বিবেক বির্সজন দিয়ে তা মেনে নিলো প্রত্যেকটি ছাত্র সংগঠন। এভাবে খেয়ে বেঁচে থাকার মত বেঁচে আছে আমার সোনালী দিনগুলো ফেলে আসার প্রিয় ভালোবাসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।’

হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য - dainik shiksha হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক - dainik shiksha সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার - dainik shiksha রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.024107217788696