শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাণিজ্য বিষয়টা খারাপ নয়। কিন্তু এটা শিক্ষার সাথে যায় না। শিক্ষায় বাণিজ্যিকীকরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের ঐতিহ্যে জ্ঞান বিতরণ একটি মহৎ কাজ হিসাবে পরিচিত। তাই আমাদের সমাজে শিক্ষকরা পরম শ্রদ্ধার, পূজনীয় ও অনুকরণীয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষকদের কিছু কর্ম এবং অতিরিক্ত অর্থলোভ ঐ ঐতিহ্য হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষকদের কিছু কর্ম এবং অতিরিক্ত অর্থলোভ আমাদেরকে হতাশ করছে। আমাদের মনে রাখতে হবে; অর্থের চেয়ে সম্মান বড়। আমরা শিক্ষাকে বানিজ্যের ঊর্ধ্বে রাখতে চাই ।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১০ বছরে শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশে অনেক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এখন সময় এসেছে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে কাজ করার। আমরা চাই আমাদের শিক্ষাকে ব্র্যান্ডিং করতে। আমরা মেইড ইন জার্মানি দেখলে নির্দ্বিধায় কোনো জিনিস কিনি অথবা কোনো একজন ননটেকনিক্যাল মানুষও আই ফোন বা স্যামসাং প্রায় এক লক্ষ টাকা দিয়ে বিনা সংকোচে কিনে। কারণ তারা ঐ পণ্যের কোয়ালিটি সম্পর্কে নিশ্চিত। এ সময় তিনি কোয়ালিটি এডুকেশন নিশ্চিত করতে সবাইকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী দিনে কোয়ালিটি এডুকেশন এবং কারিগরি শিক্ষা হবে আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার। আমাদের কোয়ালিটি এডুকেশন নিশ্চিত করতে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষসহ সকলকে দায়িত্বশীল হতে হবে।
আই ইউ বিএটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রবের সভাপতিত্বে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন।