আগামী বাজেটে শিক্ষা খাতে আরও বেশি বরাদ্দের পরামর্শ দিয়েছেন দেশের শীর্ষ অর্থনীতিবিদরা। একই সঙ্গে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নজর দিতে বলেছেন তারা। জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, আগামী বাজেটে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নেন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান, সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইদুজ্জামান, পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান, সরকারি গবেষণা সংস্থা বিআইডিএসের ডিজি কে এ এস মুরশিদ, সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
মন্ত্রী জানান, বেসরকারি খাতে নতুন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুমোদন না দেওয়ার পক্ষে তিনি। অবশ্য এটি তার ব্যক্তিগত চিন্তা-ভাবনা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। শিক্ষায় বরাদ্দ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা শুধু প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এ খাত অনেক বিস্তৃত। প্রায় প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে এমন অসংখ্য প্রকল্প রয়েছে যেখানে শিক্ষা বিষয়টি কোনো না কোনোভাবে জড়িত।
মেগা প্রকল্প প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী জানান, এসব প্রকল্পের বেশিরভাগই বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। অনেক প্রকল্প আছে প্রায় শেষ পর্যায়ে। সময়মতো যাতে মেগা প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন হয়, সে জন্য বেশি বরাদ্দ দেওয়া হবে। এ ছাড়া দুটি প্রকল্পে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এগুলো হলো- আমার গ্রাম-আমার শহর এবং তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান। তিনি বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। ওই নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী বাজেটে এসব প্রকল্পে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) শক্তিশালী করা হবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, রিটার্ন জমা, তার সঙ্গে কর পরিশোধ করাসহ সবকিছু অটোমেশন করা হবে।
শিক্ষা খাতে নতুন করে এমপিওভুক্তি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ খাতে কোনো ধরনের অনিয়ম দেখতে চান না প্রধানমন্ত্রী। যে কেউ চাইলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বানাতে পারবেন না। সে জন্য আমরা একটি সমীক্ষা করব খুব শিগগিরই। যেসব প্রতিষ্ঠান যোগ্য হবে, শুধু সেসব প্রতিষ্ঠানকে এমপিওর আওতায় আনা হবে।