বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিণ মানিক খালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন ছাত্রী দুই শিক্ষিকার নির্দেশে শাক তুলতে গেলে পেটে জোঁক ঢুকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছে এক ছাত্রী। বর্তমানে সে পাথরঘাটা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শনিবার ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নাছিমা ও সেলিনা ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী তমা একই শ্রেণীর অরদী এবং ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী জীবিকাকে বিদ্যালয়ের পাশের একটি ঢোবায় নামিয়ে কলমি শাক তুলতে বলে।
এ সময়ে তমার পেটে জোঁক ঢুকে রক্তক্ষরণ হতে থাকলে তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। একপর্যায় তামার অবস্থা গুরতর হলে তাকে পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জিয়া উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আগামীকাল তার রক্ত পরীক্ষা করা হবে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই শিক্ষিকার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তারা ফোন রিসিভ না করায় তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে শিক্ষিকা নাসিমার স্বামী মো. শাহজাহান বলেন আমরা ওই ছাত্রীর চিকিৎসা করাচ্ছি। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মৃণাল বলেন আমি ঘটনার সময় বিদ্যালয় ছিলাম না। তমার পিতা সুমন গয়ালীর কাছে জানতে চাইলে তিনি মেয়ের অবস্থা গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন মেয়ের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলা শিক্ষা অফিসার নগেন্দ্র নাথ সরকারকে অগনিতবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। সহকারী শিক্ষা অফিসার রবীন্দ্র নাথ হাওলাদার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ঘটনা আমি শুনেছি আগামীকাল ঘটনা স্থলে যাব এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।