শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, দেশে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে যেমন বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে, তেমনি উপযুক্ত মানব সম্পদ তৈরির মাধ্যমে সরকার দেশকে বিশ্বের দরবারে একটি স্বয়ংসম্পন্ন, আত্মনির্ভরশীল, টেকসই এবং উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছে। উপমন্ত্রী আজ রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে মিরপুরের পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৬ষ্ঠ সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলরের মনোনীত সভাপতি হিসেবে দেয়া বক্তৃতায় একথা বলনে।
উপমন্ত্রী বলেন, তরুণ গ্রাজুয়েটরা তাদের মেধা, প্রজ্ঞা ও কর্ম দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে বিশ্বের দরবারে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে। পাশাপাশি তারা নিজেদের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করতে পারবে।
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, জ্ঞানের রাজ্যটা কোনো মতাদর্শের বা মেকি আদর্শবাদের কানাগলির দেশ নয়। বরং তা প্রকৃতির মতো উদার। আর যখন জ্ঞানকে প্রক্রিয়াজাত করে তোমরা প্রজ্ঞার সন্ধান পাবে, দেখবে, তোমাদের স্বার্থ চিন্তাটা চলে গেছে। তোমরা যতটা না নিজেদের উন্নতির জন্য ব্রতী, তার থেকে বেশি পরহিতের জন্য। শিক্ষাকে যদি ওই পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তবে তোমাদের হাত ধরেই দেশটা আগামীর পথে এগিয়ে যেতে পারবে।
তিনি গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশে বলেন, তোমাদের স্বপ্ন যত বড় হবে, অন্যদেরকে সেই স্বপ্ন জড়িয়ে দিবে, সেটি তত রঙিন হবে। স্বার্থপর স্বপ্ন বুদ্বুদের মতো। বুদ্বুদের রং থাকে, কিন্তু বুদ্বুদ নিতান্ত ক্ষণস্থায়ী। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ডা. মুহাম্মাদ শহীদুল কাদির পাটোয়ারী বলেন, আমরা সমাবর্তনে শিক্ষার্থীদের সনদ দিচ্ছি না, বরং তারা নিজেদের সনদ অর্জন করে নিচ্ছে।
ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, এবার ১৬৫৭ জন গ্রাজুয়েট সনদ নিচ্ছেন, আমরা কামনা করি তারা সাফল্যর সাথে সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবেন।
ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. কে এম মোহসীন বলেন, ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রখ্যাত অধ্যাপক ড. এ বি এম মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে।
সমাবর্তনে ২ জনকে চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড, ৫ জনকে ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড ও ৬ জনকে ডিন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। সবশেষে বাপ্পা মজুমদার ও কিশোর ক্লাউডিসের সমন্বয়ে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।