শিখন-শেখানো কার্যক্রমে উপদেশের চেয়ে দৃষ্টান্ত অধিক কার্যকরী ও প্রত্যাশিত - দৈনিকশিক্ষা

শিখন-শেখানো কার্যক্রমে উপদেশের চেয়ে দৃষ্টান্ত অধিক কার্যকরী ও প্রত্যাশিত

অধ্যাপক ড. মো. লোকমান হোসেন |

একদিন মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর এক ভক্ত তাঁর ছেলেকে নিয়ে মহানবীর নিকট এসে বললেন আমার ছেলেটি প্রতিদিনই মিষ্টি খেতে আবদার করে। আমি গরীব মানুষ বিধায় ছেলের জন্য প্রতিদিন মিষ্টি কিনতে পারি না; তাই সে প্রায়ই কান্নাকাটি করে। আপনি দয়া করে ছেলেটিকে বলে দিন সে যেন মিষ্টি খাওয়া কমিয়ে দেয়। একথা শুনে মহানবী লোকটিকে পরদিন ছেলেকে নিয়ে আসতে বললেন। লোকটি পরদিন আসলে তাকে আবার তার পরদিন আসতে বললেন। এভাবে পরপর তিন দিন ফিরিয়ে দিলেন। চতুর্থ দিনে লোকটি তার ছেলেকে নিয়ে আসলে মহানবী ছেলেটিকে মিষ্টি খাওয়া কমিয়ে দেয়ার উপদেশ দিলেন। এক্ষেত্রে ছেলেটির বাবা মহানবীকে বললেন, ‘আপনিতো এ কথাটি প্রথম দিনেই বলতে পারতেন’। মহানবী জবাব দিলেন, ‘আমি নিজেই মিষ্টি অনেক পছন্দ করি। তোমার ছেলেকে কীভাবে মিষ্টি না খাওয়ার উপদেশ দেই’। তিনি বললেন, ‘আমি গত তিন দিন ধরে মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করেছি এবং আজ তোমার ছেলেকে উপদেশ দেয়ার সাহস পেয়েছি’।

উপদেশ তখনই কাজে আসে যখন তা অনুসরণ ও অনুকরণ করার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত হয়। একজন শিক্ষক যখন এই বলে পরামর্শ দেন যে, তোমরা ধুমপান করবে না, এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। মিথ্যা কথা বলবে না তাহলে চরিত্রবান হতে পারবে না। এখন প্রশ্ন হলো ঐ শিক্ষক যদি নিজেই ধুমপান করেন অথবা মিথ্যা কথা বলেন তাহলে তাঁর এই উপদেশ কার্যকরী হবে না। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের সম্মুখে ধুমপান না করলেও গোপনে ধুমপান করার চেষ্টা করবে এবং ঐ শিক্ষককে শ্রদ্ধার আসনে স্থান দিবে না। কোনো অফিস প্রধান যদি নিজেই দেরি করে অফিসে আসেন তাহলে তার অধীনস্থরা সময়মতো অফিসে আসার পরামর্শ মানতে উদাসীনতা দেখাবে। পিতা-মাতা যদি পারিবারিক পরিবেশে পারস্পরিক শালীন আচরণ না করেন বা সামাজিক রীতিনীতি না মেনে না চলেন তাহলে সন্তানদের দিয়ে তা মানাতে পারবেন না। 

আমাদের সমাজে উপদেশ দেয়ার মতো নেতা ও কর্তাব্যক্তির অভাব নেই। উপদেশদাতাদের জ্ঞান ও গুণের পরিধি যাই হউক না কেন, তাদের সামাজিক মর্যাদা, ক্ষমতা, ধন-সম্পদ ইত্যাদি উপদেশগ্রহীতাদের চেয়ে বেশি বলেই সাধারণ মানুষ তথাকথিত উপদেশদাতাদের ‘মূল্যবান’ বাণী কান পেতে শুনেন তবে অনেকসময় মন থেকে গ্রহণ করেন না। রাজনীতিবিদরা একে অন্যকে অগণতান্ত্রিক বলে সমালোচনা করেন এবং একইসঙ্গে প্রতিপক্ষকে গণতান্ত্রিক হতে উপদেশও দিয়ে থাকেন। অথচ উপদেশদাতা নিজে তাঁর রাজনৈতিক জীবনে গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাসী কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থেকে যায়।

কিছু কিছু নেতা মানুষকে দেশপ্রেমিক হতে এবং দেশের জন্য কাজ করতে উপদেশ দিয়ে থাকেন। অথচ তাঁরা দেশ ও দেশের মানুষের সমস্যা নিয়ে চিন্তা বা কাজ করেন না। অনেকে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে উপদেশ দেন অথচ বেশিরভাগ ক্ষমতাবান উপদেশদাতা দুর্নীতিতে জড়িত। অনেকে নিজে ধার্মিক না হয়েও অন্যকে ধার্মিক হওয়ার উপদেশ দেন অথচ উপদেশদাতাকে নিজের জীবন-যাপনে ধর্মীয় বিধান মানতে দেখা যায় না। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে এবং তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে উপদেশ দেন। অথচ বেশিরভাগ শিক্ষক তাঁদের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য হিসেবে শ্রেণিকক্ষে মনোযোগ সহকারে পাঠদান না করে কোচিং সেন্টার পড়াতে আগ্রহী। অনেক মা-বাবা সন্তানকে সৎ ও চরিত্রবান হতে উপদেশ দেন অথচ নিজেদের সততা ও চরিত্র নিয়ে সচেতন থাকেন না।

মনস্তাত্তিক বিবেচনায় শিশুদের জীবনে উপদেশের চেয়ে দৃষ্টান্ত থেকে শিক্ষা নেবার প্রবণতা বেশি। শিক্ষার্থীরা প্রধানত চারটি উপায় শিখে যেমন- শুনে শিখে, দেখে শিখে, পড়ে শিখে এবং কাজ করে শিখে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত একজন মানব সন্তান সবচেয়ে বেশি শেখে দেখে এবং কাজ করে। এই শেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে, জ্ঞান অর্জন করা, কাজ করার জন্য নিজকে উপযোগী করে তোলা, সমাজের অন্য সকলের সঙ্গে মিলে মিশে চলার যোগ্যতা অর্জন করা এবং সমাজে অনুকরণীয় একজন হওয়া। পিতা-মাতা যে কাজটি নিজেরা করে সন্তানদের দেখান, তারাও সেটা সহজে গ্রহণ করে। একটি ছোট্ট মেয়ে শিশু সে মায়ের সাথে ঘর ঝাড়ু দেয়, ডেকচি-পাতিল নিয়ে খেলে, সাজতে চেষ্টা করে; কেননা সে এসব মা থেকে দেখে। ছেলে শিশু গাড়ি চালাবে, জিনিস বানাবে কিংবা ঘরের ক্ষুদ্র বস্তুকে ছাত্র বানিয়ে ধমক দিবে, পিটাবে। সে এসব তার পিতা ও দাদা-দাদীর চরিত্র থেকে শিখে। আজকাল অনেকের ঘরেই কাজের বুয়া আছে, তারাও দৈনিক ঘরেই কাজ করে। কোনো শিশুকে কখনও দেখা যাবে না যে, সে বুয়ার মতো কাজ করছে। কেননা তারা কখনো বুয়াদের নিকট থেকে উপদেশ শুনে না ফলে তারা বুয়ার জীবন অনুসরণ করে না।

গরীবের দুঃখীর প্রতি সদয় হওয়ার উপদেশ দিলে কোনো কাজ হবে না। সে জন্য আগে সন্তানকে উপোষ রাখুন, রোজা রাখান তাহলে বুঝবে খিদের জ্বালা কেমন। দ্বীন-হীন গরীব, বাস্তুহীনকে ঘরে এনে খাওয়ান, সন্তানকে সেখানে রাখুন। তাকে দেখান এই সামান্য ভাত খেতে পেরে গরীব লোকটি কীভাবে খাদ্য দাতার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। নিজের শিক্ষককে বা সন্তানের শিক্ষককে সম্মান দিন, তাকে বাড়িতে দাওয়াত দিন। লক্ষ্য একটাই, যাতে এই ইজ্জত সম্মান কীভাবে দেখাতে হয় তা যেন নিজের সন্তান দেখতে পায়। নিজের পিতার প্রতি অধিক দায়িত্ববান হউন, এই কাজটিই সন্তান অনুসরণ করবে। বৃদ্ধ পিতা ঘর থেকে বেরুবার সময়, নিজের সন্তানের সামনে, স্বীয় পিতার জুতা জোড়া আগিয়ে দিন। পিতাকে মানুষের সামনে পিতাকে সম্মান দিন। এই কাজগুলো সন্তান হুবহু অনুসরণ করবে। পিতা নেই, তাহলে কি! তাহলে চাচার সাথে সেই আচরণ করুন। তিনি নেই, গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ মুরুব্বীকে শ্রদ্বা করুন। নিজের কন্যা সন্তানটিকে সাথে নিয়ে, কৃত্রিমভাবে হলেও শাশুড়ি খেদমত করুন। এক সময় খেয়াল করে দেখবেন আপনার কন্যা আপনাকেই খেদমত করার কাজে মনোনিবেশ করবে। শাশুড়ির বান্ধবী মহলের সবাইকে আন্তরিক গুরুত্ব দিন। তাহলে আপনার সম্মান-মর্যাদা আত্মীয়মহলে ছড়িয়ে পড়বে। এটা আপনার কন্যা শিখবে, হাতে কলমে।

আজকের শিক্ষকদের অনেকেই সেবাদানের মানসিকতা নিয়ে পাঠদান করেন না বলেই তা গ্রহণ করতে শিক্ষার্থীদের অসুবিধা হয়। বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা শিক্ষক প্রথমে নিজে অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন, ফলে শিক্ষার্থীরা সহজেই তা অনুকরণ করতে পারে। শরীরচর্চা শিক্ষকের মতো যদি অন্যান্য শিক্ষকরাও শিক্ষার্থীদের শেখানোর মনোভাব নিয়ে শিক্ষাদানে অভ্যস্ত হতেন, তাহলে শিক্ষার্থীদের  নিকট শিক্ষাগ্রহণ সহজতর হতো। ইংরেজি বা বাংলা সাহিত্য পড়ানোর সময় প্রথমেই যদি তার মডেল রিডিং শিক্ষক নিজে  করেন, অতঃপর শ্রেণিকক্ষে কমপক্ষে দুজন সেরা শিক্ষার্থী দিয়ে মডেল রিডিং করিয়ে নেন এবং পরবর্তী দিনের পাঠে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে আছে এমন কঠিন শব্দের অর্থগুলো বুঝিয়ে দিয়ে বাড়ির কাজ দিয়ে দেন তাতে পাঠদান আকর্ষণীয় হয়। শিক্ষক মহোদয় পর দিন ক্লাসে আসার আগেই ক্লাশে দেয়া প্রশ্নোত্তর শিক্ষার্থীরা ভালো করে শিখে ফেলে। শিক্ষক মহোদয় এক এক করে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করে পড়া আদায় করবেন, এতে করে শিক্ষার্থীরা মনোযোগী হয়। শিক্ষকের প্রশ্ন করা ও উত্তর শোনার কৌশল দেখে এবং শুনে সকল শিক্ষার্থীর তা শেখা হয়ে যায়, এতে শিক্ষার্থীদের মন লেখাপড়ার আনন্দে ভরে উঠে। এমনিভাবে এক সপ্তাহ পড়ানোর পর শিক্ষক সাপ্তাহিক পরীক্ষা নেবেন। শিক্ষার্থীদের চমৎকার ফলাফল দেখে শিক্ষকের মন অনির্বচনীয় আত্মপ্রসাদ লাভ করবে। 

ফার্সি গদ্যের জনক মহাকবি শেখ সাদি। কিশোরদের জন্য তিনি উপদেশমূলক গল্প ও কবিতা লিখেছেন। গল্পে গল্পে তিনি শুনিয়েছেন সততার পুরস্কার কী কী উপায়ে পাওয়া যায়। কীভাবে বিনয়ী হতে হয়, ন্যায়-অন্যায় বিবেচনা করতে হয় ইত্যাদি। তাঁর অভিমত সব মানুষ একদেহের অঙ্গসম তাই শরীরের একটি অঙ্গ ব্যথায় আক্রান্ত হলে বাকি অঙ্গগুলি তখন স্থির থাকতে পারে না। তাঁর দেয়া কয়েকটি উপদেশ হলো -‘অন্যের বিপদে যদি তুমি উদ্বিগ্ন না হও, তবে তোমার নাম মানুষ হতে পারে না’। ‘সৃষ্টিকর্তাকে ভয় না করে কখনো মানুষ জীবন পরিচালনা করতে চায় না, তাই সর্বদা সৃষ্টিকর্তাকে ভয় কর’। ‘এমনভাবে জীবনযাপন করো না, যেন কখনো মরতে হবে না। আবার এমনভাবে মরে যেয়ো না - যেনো তুমি কখনোই বেঁচে ছিলে না’। ‘দেয়ালের সম্মুখে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় সতর্ক হয়ে কথা বলো, কারণ মনে রেখো দেয়ালের পেছনে কেউ না কেউ কান পেতে দাঁড়িয়ে আছে’। ‘নিন্দা ও হিংসা করার মাধ্যমে সৎ লোকের ও সৎ কর্মের অনিষ্ট করা যায় না। সুতরাং কারোর নিন্দা করো না’। ‘দুই শত্রুর সাথে এমনভাবে কথাবার্তা বিনিময় করো না যাতে কখনো তারা পরস্পর বন্ধু হলে তোমাকে লজ্জিত হতে না হয়’। ‘মন্দ লোকের সঙ্গে ওঠাবসা করলে তুমি কখনো কল্যাণের মুখ দেখবে না। কথা বলার সময় খুব চিন্তা করে বলা উচিত। কারণ কথা হচ্ছে বাতাসের মতো, যা একবার মুখ থেকে বেরিয়ে গেলে আর ভিতরে নেয়া সম্ভব হয় না। 

আদেশ, উপদেশ, নিষেধ সবকিছুই সমাজের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে। দেশ ও সমাজের মানুষকে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করে তুলতে অবশ্যই সচেতনতামূলক আদেশ-উপদেশ-নিষেধের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের জীবনেও আদেশ, উপদেশ, নিষেধ অবশ্য পালনীয়। তবে যিনি বা যাঁরা উপদেশ দেবেন, তাঁদের অবশ্যই দৃষ্টান্ত স্থাপন করে উপদেশদাতা হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। অন্যথায় এই উপদেশ কেউ শুনতেও চাইবে না, মানতেও চাইবে না। সন্তানকে সৎ আদর্শবান, দেশপ্রেমিক ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে মা-বাবাসহ পরিবারের সকল সদস্যকেই নিজেদের চালচলন, আচার ব্যবহার, কথাবার্তা ও চরিত্রে এর প্রতিফলন ঘটাতে হবে। দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে উপদেশদাতাদের সবার আগে সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। শিক্ষার্থীদের উপদেশ দেয়ার আগে শিক্ষককে সৎ আদর্শবান ও দায়িত্বশীল হতে হবে। অর্থাৎ উপদেশ দেয়ার আগে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। তাহলেই উপদেশ কাজে লাগবে।

শিক্ষা মানুষকে সচেতন করে আর তা গ্রহণ করতে হলে সৎ, বিশ্বস্ত, গ্রহণযোগ্য ও গুণী ব্যক্তিকে নির্বাচন করা আবশ্যক। তাছাড়া উপদেশ গ্রহণ করার মতো প্রজ্ঞা, বিবেকবুদ্ধি ও মানসিকতা অনেকের মধ্যেই দেখা যায় না। উপদেশের প্রভাব পরোক্ষ অন্যদিকে অনুসরণের প্রভাব প্রত্যক্ষ। সমাজব্যবস্থায় মূল্যবোধ জাগ্রত করতে চাইলে নিজেরা নিয়ম-কানুন, শিষ্টাচার, আদব-কায়দা ইত্যাদি মান্য করার মাধ্যমে অন্যকে মানাতে পারলে তা টেকসই ও প্রয়োগযোগ্য হবে। অর্থাৎ যিনি কোনো বিষয়ে উপদেশ দিবেন তিনি অবশ্যই ঐ বিষয়ে অনুকরণীয় হবেন। আসুন আমরা সবাই মিলে একটি সুখী সমৃদ্ধ, মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজব্যবস্থা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখি। 

লেখক: অধ্যাপক ড. মো. লোকমান হোসেন, পরিচালক (গবেষণা ও তথ্যায়ন), জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম), ঢাকা।

স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.009066104888916