শিশুদের ওপর কর্তৃত্ব না করলে কর্তৃত্ববাদ থেকে মুক্তি মিলবে - Dainikshiksha

শিশুদের ওপর কর্তৃত্ব না করলে কর্তৃত্ববাদ থেকে মুক্তি মিলবে

ড. এমদাদুল হক |

শিশুর জন্ম হয় সাদা কাগজের মতো। সাদা কাগজে যে ছাপ পড়ে তাই স্থায়িত্ব লাভ করে। নবজাতকের মনে সুন্দর ছাপ তৈরির প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগানো চাই। একই সঙ্গে সতর্ক থাকা চাই শিশু যেন এমন কোনো ব্যক্তি ও পরিস্থিতির সম্মুখীন না হয়, যা তার মধ্যে নেতিবাচক ছাপ তৈরি করতে পারে। ‘শিশুরা ফেরেশতা’--কথাটি এই অর্থে সত্য  যে, শিশুরা নিষ্পাপ। নিষ্পাপ মানবদেহ আলোক বলয়ে ঘেরা থাকে। জন্মের পর শিশু প্রথম অনুভব করে আলো, বায়ু  এবং মায়ের স্পর্শ, যা তার জীবনের জন্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ছাপ। এরপর থেকে শিশুমনে একের পর এক যত ছাপ পড়তে থাকে, তার আলোক বলয়ে তত পরিবর্তন শুরু হয়। অতি দ্রুত রূপান্তরের এই সময়টিতে যদি নেতিবাচক ছাপ পড়ে, তবে তা ভবিষ্যতের কোনো শিক্ষাতেই মুছতে পারে না।

শিশুকে যে যত্ন ও লালন-পালন করে, শিশু তার স্বভাব গ্রহণ করে। কাজের লোক যে শিশুকে লালন-পালন করে সে কাজের লোকের স্বভাবই গ্রহণ করে। অধিকাংশ মানুষের ধারণা, এক বছরের বাচ্চা কী বোঝে! তার সামনে যা খুশি বলা যায়, যা খুশি করা করা যায়। ভুল। এক বছরের বাচ্চা বুঝে না ঠিকই কিন্তু দেখে, শোনে। দেখা, শোনার মাধ্যমেই তার বুঝ তৈরি হয়। প্রথম বছরে দ্রুত গতিতে শিশুর মানসিক বৃদ্ধি ঘটে, খুব দ্রুত সে সংযোগ সূত্রগুলো গড়ে তোলে। প্রথম বর্ষে মানব শিশু ৭৫ শতাংশ মস্তিষ্কের আকার লাভ করে, ১ থেকে ৩ বছর বয়সে ৮০ শতাংশ, ৩ থেকে ৭ বছর বয়সে প্রায় ৯০ শতাংশ। ৭ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু যে পুষ্টি ও শিক্ষা লাভ করে, তা-ই নির্মাণ করে তার ভবিষ্যৎ। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হওয়ার আগেই জীবনের শিক্ষা প্রায় সমাপ্ত হয়ে যায়।

কখনো শিশুকে অবুঝ গণ্য করতে নেই। প্রত্যেক শিশু একজন সচেতন দর্শক,  শ্রোতা এবং পর্যবেক্ষক। শিশুকে অবহেলা করা সহজ, শ্রদ্ধা করা কঠিন। কিন্তু প্রকৃত শ্রদ্ধার পাত্র সে-ই। শিশুকে পরিপূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া কর্তব্য, যেন সে স্বয়ং চয়ন করতে পারে। মাতাপিতার দায়িত্ব শিশুকে নিরাপত্তা দেয়া, সুরক্ষা দেয়া, তার প্রয়োজন মেটানো। শিশুর ইচ্ছার স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব মাতা-পিতার নয়।  শিশুকে আঘাত করা অপরাধ, কান্না ছাড়া তার প্রতিবাদের আর কোনো ভাষা নেই। শিশুর কান্না মানেই ক্রোধ। শিশুর কান্নাকে উপেক্ষা করার অর্থই হলো তার মধ্যে ক্রোধপ্রবণতা বাড়তে দেয়া। 

আদেশ-নিষেধ ও শাস্তির ভয় দেখিয়ে শিশুকে মানুষ (!) করা যায় না। আদেশ-নিষেধের বেড়াজালে থেকে কপটতা তৈরি হয়। শিশুরা ফুলের মতো। বলপ্রয়োগে ফুল ফোটানো যায় না। সন্তানকে লালন-পালন করা, প্রেম করা কর্তব্য, কিন্তু সন্তানের ওপর অধিকার প্রতিষ্ঠা করার প্রবণতা ক্ষতিকর। যে মাতা-পিতা সন্তানের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে, জীবন তার কাছে কারাগার হয়ে যায়--এবং ধীরে ধীরে সে কয়েদির স্বভাব অর্জন করে।
কখনো যেন সন্তানের প্রতি ‘আমার সন্তান’ বোধ না থাকে। সন্তান জনক-জননীর মাধ্যমে আসে, কিন্তু জনক-জননী সন্তানের মালিক নয়। পরমপ্রকৃতি জনক-জননীকে একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে মাত্র। জনক-জননীর মাধ্যমে স্বয়ং পরমপ্রকৃতি তার সৃষ্টিলীলায় প্রবেশ করে মাতৃজঠরে।

বস্তুর ওপর মালিকানা প্রতিষ্ঠা করা যায়, জীবনের উপর মালিকানা প্রতিষ্ঠা করা যায় না। জীবনের দাতা ও গ্রহীতা মানুষ না। জন্মদানের পূর্বেই মাতাপিতার এই মানসিক প্রস্তুতি থাকা অতি আবশ্যক।মাতা-পিতার সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কই প্রথম সম্পর্ক। বাকি সব সম্পর্কের ভিত্তিও এটিই। প্রথম পদক্ষেপটি যদি ভুল হয়, তবে সবই ভুল হয়ে যায়।

আদেশ, নিষেধ, উপদেশ দিয়ে শিশুদের শিক্ষা দেয়া যায় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাতা-পিতা শিশুদের উপদেশ দেয় শুধু তাদের আসক্তির জন্য। শিশুরা আদেশ-নিষেধ-উপদেশ মান্য করে না। তারা শেখে পরিবেশ থেকে। প্রেমের পরিবেশে বেড়ে উঠলে শিশু সুস্থ, নম্র, ভদ্র ও বিনয়ী হয়- ঘৃণার পরিবেশে স্বার্থপর ও অসামাজিক হয়। মাতা-পিতা যদি পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়, তবে শিশু স্বভাবতই মাতা-পিতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ওঠে। সুতরাং সন্তান যদি মাতা-পিতাকে শ্রদ্ধা না করে, তবে তা মাতা-পিতারই অযোগ্যতা, সন্তানের নয়। একজনের দোষে আরেকজনকে শাস্তি দেয়া অন্যায়।  যেসব মাতা-পিতার প্রতি সন্তানদের শ্রদ্ধা নেই তারা জনক-জননী হতে পারে কিন্তু মাতা-পিতা হওয়ার সনদ তারা সন্তানদের কাছ থেকে প্রাপ্ত হয়নি। 

ভয় ও লোভ দেখিয়ে শিশুকে শিক্ষা দেয়া যায় না। শিশুরা কাচের মতো। এদের সাবধানে নাড়াচাড়া করতে হয়। কাচ যেমন আঘাত করলে ভেঙে যায়, শিশুরাও তেমনি। বাইর থেকে দেখতে তাদের ভালোই দেখায় কিন্তু ভেতরে ভেতরে তারা একেবারেই ভেঙে যায়। যে সব মাতা-পিতা শিশুকে প্রেরণা দিতে পারেন না,  তাদের জন্য নীরব থাকাই উত্তম। শিশুকে ভর্ৎসনা ও তিরস্কার করার মতো ক্ষতিকর আর কিছু নেই। কোনোভাবেই শিশুদের আঘাত করতে নেই। তারা অতিথি। অতিথিরা ভুল করলেও শাস্তি দেওয়া সমীচীন নয়। কখনোই শিশুদের  উত্যক্ত করতে নেই। শিশুরা দ্রুত উন্নতি করবে, যদি তাদের বিরক্ত না করা হয়। শিশুদের যদি শাসন করতেই হয়, তবে সে শাসনের মধ্যেও যেন প্রেম থাকে। শাসনের মধ্যেও যেন তারা উপলব্ধি করতে পারে যে, মাতা-পিতা তাদের ভালোবাসো। ভালোবাসা পাওয়া, সুরক্ষা পাওয়া এবং মূল্যবান হিসেবে বিবেচিত হওয়া  প্রত্যেক শিশুর অধিকার।কিছু না করতে পারলেও সে মূল্যবান। ব্যর্থ হলেও সে সফল। উপভোগ্য না হলেও শিশুর কথা গুরুত্বপূর্ণ।

যে শিশু বুঝতে পারে যে, সে তার পরিবারের কাছে মূল্যবান, যে শিশু মাতা-পিতার কাছ থেকে ভালোবাসা পায়, কঠিন পরিস্থিতিও তার কাছে সহজ হয়ে যায়। যার সঙ্গে মাতা-পিতার ভালোবাসা আছে, তাকে কেউ আটকাতে পারে না। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সে বিজয়ী হয় ভালোবাসার শক্তিতে। যে শিশু ভালোবাসা ছাড়াই বড় হয়, সারাজীবন সে ভালোবাসা খোঁজে। যত বিখ্যাতই হোক না কেন, তার ভেতরটা ফাঁকাই থেকে যায়। সন্তানকে মানুষ করার চেষ্টা না করাই ভালো। আমগাছকে কেউ আমগাছ বানানোর চেষ্টা করে না, সে নিজেই আমগাছ হয়; সব জীবজন্তু, গাছ-পালা, পশু-পাখি তার মতো বৃদ্ধি পায়। মানুষ পারে শুধু পরিবেশ তৈরি করে দিতে। সন্তানকে শিক্ষাদানের পদ্ধতিও তাই। শিশুরা নিজে থেকেই মানুষ হয়ে উঠবে, যদি তাদের সম্যক পরিবেশ দেয়া যায়। ভালোমন্দ, ন্যায়-অন্যায়, ধর্ম-অধর্ম কোনোকিছুই তাদের শিক্ষা দেয়ার প্রয়োজন নেই। সবকিছুই তারা শিখে নেবে পরিবেশ থেকে।

শিশুরা সুগ্রাহী। এখনও তাদের মগজধোলাই হয়নি। কোনো মতবাদে তারা আবদ্ধ হয়নি। তাই তারা গ্রহণ করতে উন্মুক্ত।  শিশুকে যতই মানুষ করার চেষ্টা করা হবে সে ততই অমানুষ হয়ে উঠবে। সে তার মতো বেড়ে উঠুক, যা খুশি করুক। পিতা-মাতার কর্তব্য শুধু তত্ত্বাবধান করা- এটুকু নিশ্চিত করা যেন সে নিরাপদ আশ্রয় ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য পায়; তার জীবন যেন সংকটাপন্ন না হয়।

শিশুরা শব্দ অনুসরণ করে না--কর্ম অনুসরণ করে। তাই শিশুকে সাম্প্রদায়িক শিক্ষা দেয়ার প্রথা পরিত্যজ্য। যে কোনো সাম্প্রদায়িক শিক্ষা বিচ্ছিন্নতা উৎপাদক। অনেক ক্ষেত্রেই মাতা-পিতা শিশুদের শিক্ষাদানের ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌঁছতে পারে না। মাতা-পিতা দুজনেই তাদের বিশ্বাস ও দৃষ্টিভঙ্গি সন্তানের ওপর চাপানোর চেষ্টা করা বিরাট ভুল। মাতা যখন সন্তানের সম্মুখে পিতার বিরোধিতা করে এবং তার বিপরীতে তখন সন্তান বুঝতে পারে না, সে কোনদিকে যাবে। ফলে ছোটবেলা থেকেই শিশুরা বিভক্ত চরিত্রের হয়। সুতরাং এটা অপরিহার্য যে, বাবা-মা উভয়ই শিশুকে শিক্ষাদানের ব্যাপারে একমত হবেন কিংবা দুজনের একজন সন্তানকে শিক্ষা দেবেন- অন্যজন শুধু তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকা পালন করবেন। 

কে সন্তানকে শিক্ষা দেবে- অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রকৃতিই তা ঠিক করে দেয়। একই পরিবারের মাতা-পিতা দুজনই সন্তানের প্রতি সমান যত্নশীল থাকে না। একজন যত্নশীল তো অন্যজন উদাসীন। যদি যত্নশীলতা নিয়ে বিরোধ উৎপন্ন হয়, তবে তা মাতার পক্ষেই যায়। মাতার সঙ্গে সন্তানের একাত্মবোধ থাকে জন্ম থেকেই। এক্ষেত্রে পিতার দায়িত্ব হলো মাতাকে সহযোগিতা করা। পিতা সন্তানকে লালন করতে পারেন কিন্তু পালন করতে পারেন না।
পুরুষ সারাজীবন নিজেই শিশু থাকে। তাই বলে সন্তানের ওপর পিতার প্রভাব অস্বীকার করা যায় না। মাতা শিশুকে আচার-আচরণ শেখায় কিন্তু শিশু পিতার আদর্শ গ্রহণ করে।

শিশুর প্রথম গুরু মা, দ্বিতীয় গুরু পিতা, তৃতীয় গুরু শিক্ষক, চতুর্থ গুরু সে যাকে গুরু হিসেবে চয়ন করে। নিয়ন্ত্রণের দুটি পথ, একটি ভালোবাসার, অন্যটি বলপ্রয়োগের। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করলে ইচ্ছা শক্তি মরে যায়। ভালোবাসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করলে ইচ্ছাশক্তি দৃঢ় হয়। বলপ্রয়োগে মানুষকে দাস বানানো যায়। প্রেম দিয়ে বানানো যায় রাজকুমার। শিশুরা ভুল করবে এবং ভুল থেকেই শিক্ষা নেবে। তাদের ভুল ধরিয়ে দেয়া যায়। কিন্তু ভুল করা যে ভুল নয়, এটি যেন তারা বুঝতে পারে। তারা যত খুশি ভুল করুক কিন্তু একই ভুল যেন বারবার না করে।

পিতা-মাতার অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করার জন্য শিশুর জন্ম হয়নি। প্রতিটি মানব শিশুর আলাদা জীবন। আলাদা তার জীবনের আকাঙ্ক্ষা। তারা নিজের আকাঙ্ক্ষা  তৈরি করুক, নিজের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করুক তবেই তারা আলোর দিশা পাবে। সমাজের বেশিরভাগ মানুষই স্বাতন্ত্র্যহীন, গড়পড়তা মানুষ। কারণ মানুষকে স্বাতন্ত্র্য আকাঙ্ক্ষা তৈরির সুযোগই দেয়া হয় না। শিশুকাল থেকেই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট ঢুকিয়ে দেয়া হয় মগজে। স্বাতন্ত্র্য সে খুঁজেই পায় না। ফলে সে হরে দরে বেড়ে ওঠে। শ্রেষ্ঠ হতে পারে না। প্রত্যেক শিশুর জন্ম হয় কিছু সম্ভাবনা নিয়ে। সম্ভাবনা বিকশিত না করতে পারলে সে শান্তি পাবে না। মাতা-পিতার দায়িত্ব সে কী সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে, তা বুঝতে চেষ্টা করা এবং সে সম্ভাবনাগুলো বিকাশের পরিবেশ করে দেয়া।

শিশুরা তো শিশুই। শিশুরা যদি বড়দের মতো বিষণ্ন আর চুপচাপ থাকে, তবেই তা অস্বাভাবিক। তারা নাচবে, হাসবে, খেলবে, চিৎকার করবে, কাঁদবে এটিই স্বাভাবিক। তাদের এসব করতে নিষেধ করার অর্থই হলো বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করা।  যতটা সম্ভব শিশুদের ‘হাঁ বলা উচিত। ‘না শুনতে শুনতে শিশুরা কর্তৃত্বপ্রিয় হয়ে ওঠে। হয় সে কর্তৃত্ব করতে চায়, না হয় আনুগত্য স্বীকার করতে চায়। মনুষ্যসমাজে কর্তৃত্ববাদ টিকে আছে এ কারণেই। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের কর্ণধার। শিশুদের ওপর কর্তৃত্ব না করলে, কর্তৃত্ববাদ থেকে মুক্তি মিলবে।

লেখক : সভাপতি, জীবনযোগ ফাউন্ডেশন

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0043540000915527