প্রাথমিকের শিশুদের বইয়ের বোঝা কমানোর দাবিতে রাজধানীতে আলোচনাসভা হয়েছে। গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এ সভা হয়। তাতে বক্তারা শিশুদের বইয়ের বোঝা কমাতে আইন প্রণয়নের দাবি জানান।
সভায় ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের নবম ব্যাচের রাজনৈতিক ফেলো এবং বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহপরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক তাহরিমা হক সুপ্তি বলেন, দেশের দুই কোটির বেশি শিশু প্রাথমিক স্কুলে লেখাপড়া করে। তাদের অনেককেই ভারী ব্যাগ বহন করতে হয়। কারণ বেসরকারি প্রতিটি স্কুলেই পাঠ্যক্রমের বাইরে একগাদা বই পড়তে হয়। প্রতি বিষয়ের দুটি খাতাও বহন করতে হয় শিশুদের। এতে বিভিন্ন ধরনের দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
তাহরিমা হক সুপ্তি আরো বলেন, আদালতেরও একটি নির্দেশনা আছে। যাতে বলা হয়েছে, ব্যাগের ওজন সর্বোচ্চ শিশুর ওজনের শতকরা ১০ ভাগের এক ভাগ হতে পারবে। কিন্তু ব্যাগের বোঝা কমেনি।
তাই এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে একটি আইন প্রণয়ন দরকার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. সুলতানা শফি বলেন, ‘আইন প্রণয়ন সময়সাপেক্ষ বিষয় হলেও স্কুলশিক্ষক, অভিভাবকসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই সমস্যা নিরসন করা সম্ভব। ’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ড. চন্দন সাহা বলেন, ‘শিশুদের ভারী ব্যাগের কারণে শুধু সাময়িক সমস্যা নয়, দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। ’