হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী পুলিশের উদ্যোগে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্য উগ্রবাদ বিরোধী রচনা প্রতিযোগিতা আয়োজনের সমালোচনা করেছেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ সাধারণ শিক্ষার ছাত্র-ছাত্রীদেরকে কেন রাখা হয়নি সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বুধবার (২৯ মার্চ) বাবুনগরীর ব্যক্তিগত সহকারীর পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে পুলিশের এমন এক তরফা উদ্যোগে দেশের আলেম সমাজ ও মাদরাসা শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, গত ২৫ মে ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের প্রচারিত বিবৃতিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহিংস উগ্রবাদ বিরোধী সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ‘সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে ইসলামী শিক্ষা’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন সচেতনতা তৈরির প্রয়োজন পুলিশ মনে করল না কেন, এমন প্রশ্ন তুলে বিবৃতিতে বলা হয়, গুলশানের হলিআর্টিজানের ভয়াবহ সন্ত্রাসী ঘটনায় মাদরাসা ছাত্রদের সংশ্লিষ্টতা দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও বার বার বলেছেন জঙ্গিবাদের সাথে আলেম-উলামা ও মাদরাসা ছাত্ররা নয়, বরং ইংলিশ মিডিয়াম ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিত্তশালী পরিবারের সন্তানরাই জড়িত।
প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ডিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জুনায়েদ বাবুনগরী বিবৃতিতে এই প্রতিযোগিতা বন্ধ করার দাবি জানান। এই প্রতিযোগিতা বহাল থাকলে দেশের আলেম সমাজ ও জনগণের মনে পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে যেমন সংশয় জাগবে, ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, শিক্ষার্থী ও তরুণ-কিশোরদের মধ্যে সহিংস উগ্রবাদ বিরোধী সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিযোগিতার প্রয়োজন মনে করা হলে, এতে স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটির সাথে প্রয়োজনে মাদ্রাসার ছাত্রদেরকেও শামিল করুন। তাতে কারোরই আপত্তি থাকবে না।