সংসদ সদস্য (এমপি) না হয়েও শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা পাচ্ছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিন শর্তে একটি টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার স্টেশন ওয়াগন জিপ গাড়ি শুল্কমুক্ত সুবিধায় পাচ্ছেন তিনি। এ গাড়ি ছাড়করণের লক্ষ্যে বিশেষ আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (শুল্কনীতি) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত ওই বিশেষ আদেশ গত সোমবার জারি হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, আবুল মাল আবদুল মুহিত শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা প্রাপ্য না হলেও, বাস্তবিক অবস্থার নিরিখে তাকে এ সুবিধা দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, সাবেক এমপি ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের আমদানি করা একটি টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার স্টেশন ওয়াগন জিপ গাড়ি শুল্কমুক্ত সুবিধায় ছাড় করার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সুপারিশ এনবিআরে পাঠানো হয়েছে।
ওই সুপারিশ পর্যালোচনায় দেখা যায়, আবুল মাল আবদুল মুহিত দশম জাতীয় সংসদের এমপি ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও একাদশ জাতীয় সংসদে তিনি এমপি হননি। এর প্রেক্ষিতে শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা প্রাপ্য না হলেও বাস্তবিক অবস্থার নিরিখে, শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।
ওই বিশেষ আদেশে বলা হয়, আমদানি করা গাড়িটি খালাসের ক্ষেত্রে সমুদয় আমদানি শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক থেকে তিন শর্তে অব্যাহতি দেয়া হলো। এগুলো হলো- গাড়িটি পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে হস্তান্তর বা বিক্রি করা যাবে না। তবে হস্তান্তর বা বিক্রি করতে হলে অব্যাহতি পাওয়া সমুদয় শুল্ককর পরিশোধ করতে হবে। এ ছাড়া গাড়ির রেজিস্ট্রেশন হস্তান্তর বা বিক্রির ক্ষেত্রে এনবিআরের কাছ থেকে পূর্বসম্মতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট শুল্ক ভবনে দাখিল করতে হবে। আর পাঁচ বছরের মধ্যে আমদানিকারক মারা গেলে তার উত্তরাধিকারকে কোনোরূপ শুল্ককর পরিশোধ করতে হবে না।
তবে শর্ত থাকে যে, উত্তরাধিকারীর নামে নাম পরিবর্তন ছাড়া অন্য কারও নামে হস্তান্তর বা বিক্রি করলে অব্যাহতি পাওয়া শুল্ককর পরিশোধ করতে হবে।