পাঠদানে বাধ্য করতে দশ বছরের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে শেকলে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের চলনালী গ্রামের পাঁচশিশা কওমি মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ শনিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে ভীতসন্ত্রস্থ শিশুকে উদ্ধার ও মাদ্রাসার শিক্ষক ইয়ারুলকে আটক করেছে।
পুলিশ জানায়, জিম খাতুন (১০) নামে শিশুটি চলনালীগ্রামের পাঁচশিশা কওমি মাদ্রাসায় পবিত্র কোরআন শিক্ষার জন্য ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু নানা অজুহাতে হুজুর ইয়ারুল ইসলাম ওই শিশুকে পায়ে শেকল বেঁধে আটকে রাখতো। বিভিন্ন সময় ভয়ে শিশুটি পালিয়ে যেত। পরে পরিবারের সদস্য বুঝিয়ে আবারও মাদ্রাসায় রেখে আসতেন। সর্বশেষ গত ১৫ এপ্রিল শিশুটি আবারও পায়ে শেকল বেঁধে পাঠদানে বাধ্য করা হয়। পায়ে শেকল বেঁধে রাখার যন্ত্রণা সইতে না পেরে শিশু জিম কান্নাকাটি শুরু করে। সুযোগ বুঝে শিশু জিম ওই রাতেই মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে আসে গুরুদাসপুর পৌরসভার চাঁচকৈড় বাজারপাড়া মহল্লায়। তারা কান্নাকাটি ও পায়ে শেকল বাঁধা দেখে একটি পরিবার তাকে আশ্রয় দেয়। শনিবার দুপুরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
জিমের ভাষ্যমতে, তারা বাড়ি উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের কাছিকাটা দক্ষিন পাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত আয়নুল হক। মেয়েটির মা মিনিয়ারা বেগম জানান, তার মেয়ে পড়াশুনা তেমন করতে চায় না। তার জন্য মাদ্রাসার হুজুরকে বলেছিলাম শাসন করার জন্য। কিন্তু হুজুর যে এমন করবে বুঝতে পারিনি। তিনি হুজুরের শাস্তি দাবি করেন।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দিলিপ কুমার দাস জানান, মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযোগ পাইনি, পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।