বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্ম দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। অনুষ্ঠান সূচির মধ্যে ছিল বাংলাদেশ শিশু একাডেমির শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রচনা প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং ‘শেখ রাসেল আমাদের ভালবাসা’ শীর্ষক কবিতা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন। কবিতা বইয়ের রচয়িতা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি। কবিতার বইটি ছোট ছোট ছড়া এবং শেখ রাসেলের ছবি সংবলিত।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেবেকা মোমেন, সংসদ সদস্য কবি কাজী রোজী এবং সাবেক সচিব কবি ড. কামাল আব্দুল নাছের চৌধুরী। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি আসলাম সানী, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালক আনজীর লিটন প্রমুখ।
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, শেখ রাসেলের জন্ম দিনটি খুব আনন্দের দিন কিন্তু আমরা দিনটি আনন্দের সাথে উদ্যাপন করতে পারি না। কারণ শেখ রাসেলের কথা মনে হলে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকা- ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালের কথা মনে হয়। খুনিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মম ভাবে হত্যা করে। ছোট শিশু রাসেল সে দিন ঘাতকের নির্মম বুলেট থেকে রেহাই পায়নি। শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে আজ একজন দক্ষ রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারত। তিনি বলেন, খুনিরা সেদিন ভেবেছিল এ হত্যা কা-ের কোনো বিচার হবে না। তাই তারা দাম্ভিকতার সাথে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়েছিল। কিন্তু জাতির পিতার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের জন্য একটি সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিতে এ হত্যাকা-ের বিচার করেছেন।