বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে শের-ই-বাংলা জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল (ক্লিনার) সরবরাহে নতুন দরপত্র না দিয়ে বছরে বছরে পুরাতন ঠিকাদারের কার্যাদেশের মেয়াদকাল বাড়নো হচ্ছে। এ সিদ্ধান্তকে কর্তৃপক্ষ বৈধ বলেই দাবি করলেও অন্য ঠিকদাররা বলছেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে আগের ঠিকাদারকে সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
মেডিকেল কলেজ সূত্র জানায়, ঢাকার সেগুনবাগিচা এলাকার একুশে সিকিউরিটি সার্ভিসেস (প্রা. লি.) ২০১৭-১৮ খ্রিষ্টাব্দে মেডিকেল কলেজের জনবল (ক্লিনার) সরবরাহের কাজ পান। এরপর ওই প্রতিষ্ঠান সে কার্যাদেশের অনুকূলে কলেজে চাহিদা অনুযায়ী জনবল সরবরাহ করে। নিয়মানুযায়ী ১ বছর পরে আবারো নতুন করে জনবল(ক্লিনার) সরবরাহের দরপত্র আহ্বান করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। বরং পূর্বের প্রতিষ্ঠানকেই ২০১৮-১৯ খ্রিষ্টাব্দে ১বছরের জন্য মেয়াদ বাড়িয়ে দেয়া হয়।
এদিকে কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে জনবল সরবরাহকারী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত একুশে সিকিউরিটি সার্ভিসেস মেয়াদ বর্ধিত করা হয়েছে। জানা গেছে, জুলাই মাসের ১ তারিখে মো. মজিবুর রহমান পরিচালিত একুশে সিকিউরিটি সার্ভিসেস (প্রা. লি.) কার্যাদেশের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে এরপর জনবল (ক্লিনার) সরবরাহে নতুন করে আর দরপত্র আহ্বান করা হয়নি।
অথচ অন্য ঠিকাদারদের দাবি, অর্থবছর পাড় হওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ নতুন দরপত্র আহ্বান করেনি। দরপত্র আহ্বানের কাজ হাতে না নিয়ে পুনরায় পুরাতন প্রতিষ্ঠানকেই আবারো মেয়াদকাল বাড়িয়ে দেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ঠিকাদাররা আরও জানান, আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কলেজে শতাধিক জনবল সরবরাহ করা হয়। যাদের বেতন ১০ হাজার টাকার কাছাকাছি, অনেক ক্ষেত্রে তারও বেশি পায় ঠিকাদার। তবে এ পরিমাণ টাকা পাচ্ছে না সংশ্লিষ্টরা।
কলেজ অধ্যক্ষ ডা. সৈয়দ মাকসেমুল হক বলেন, নিয়মানুযায়ী ২ বার ঠিকাদারের মেয়াদকাল বাড়ানো যায়। আর তা-ই করা হয়েছে। এখনা কোনো ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়নি।