শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে করোনার লক্ষণ নিয়ে আব্দুল আওয়াল নামের এক নির্মাণ শ্রমিক মারা গেছেন। রোববার (২৯ মার্চ) রাতে উপজেলার দক্ষিণ পলাশীকুড়া গ্রামে ৩ দিন জ্বর ও শ্বাস কষ্টে ভুগে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় আশপাশের অন্তত ১০টি বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন।
এদিকে মৃত ব্যাক্তির জ্বর ও শ্বাসকষ্ট থাকায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন বলে ধারণা করছেন গ্রামবাসী।
পলাশীকুড়া গ্রামের ইউপি সদস্য নুরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আব্দুল আওয়াল অনেক আগে থেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। ছুটিতে বাড়ি আসার পর হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট ও জ্বর বেড়ে যাওয়ায় নিজ বাড়িতেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এতে গ্রামবাসী তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে সন্দেহ করলে কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টিকে আমলে নিয়ে নমুনা সংগ্রহের উদ্যোগ নেন।
এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে আইইডিসিআর টিমকে জানালে তারা আসতে অপরাগতা জানালে স্থানীয় মেডিকেল টিমের মাধ্যমে মৃত দেহের নমুনা সংগ্রহ করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। নমুনা আজই আইইডিসিআরে পাঠানো হবে এবং তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন একেএম আনোয়ারুর রউফ।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, আমরা স্থানীয়ভাবে নমুনা সংগ্রহ করেছি। রিপোর্ট আসার পর বলা যাবে ওই ব্যক্তির করোনা ছিল কি না। যদি রিপোর্ট পজিটিভ হয় তবে ওই বাড়িগুলো লকডাউনে থাকবে ১৪ দিন আর নেগেটিভ হলে লকডাউন উঠে যাবে। আর মৃতদেহ আইইডিসিআর এর নির্দেশনা মেনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দাফনের ব্যবস্থা করা হবে।