দেশের বেশির ভাগ এলাকা থেকে কুয়াশা ও মেঘ সরেনি। এতে সূর্যের আলো ভালোমতো ভূমিতে পৌঁছাতে পারছে না। এ কারণে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য তেমন কমেনি। ফলে কনকনে শীতের অনুভূতি রয়ে গেছে।
ঘন কুয়াশার কারণে রোববার দিবাগত সোয়া ৩টার দিকে উড়োজাহাজের ওঠানামা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। আজ (সোমবার, ১৩ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৯টা থেকে আবার উড়োজাহাজ ওঠানামা শুরু হয়
কুয়াশার পাশাপাশি আরেক দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে উত্তরাঞ্চলের জনপদগুলোতে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের বেশ কয়েকটি স্থানে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ আরও নতুন নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে।
গতকাল রোববার রাজধানীর দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য ছিল ৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে কী সকাল, কী দুপুর, সব সময়ই প্রায় একই ধরনের শীতের অনুভূতি ছিল। রাজধানীর বেশির ভাগ স্থানে যানবাহন ও মানুষের চলাফেরা ছিল কম। জরুরি প্রয়োজনে যারা বাইরে বের হয়েছেন, তাঁদের ঠান্ডা বাতাস ও কুয়াশার কবলে পড়তে হয়। এই আবহাওয়ায় শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি কষ্টে পড়েছেন।
গতকাল দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড় ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ চলতি মাসে তিনটি শৈত্যপ্রবাহের আভাস দিয়েছিলেন। মাসের মাঝামাঝি সময়ে দ্বিতীয়টি বইছে। মাসের শেষ সপ্তাহে আরেকটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কথা। এবারের শীত মৌসুমে ডিসেম্বরের শেষার্ধে দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায় দেশের বিভিন্ন এলাকায়।