রাজধানীর ঢাকার সকালটা আজ (শনিবার, ১১ জানুয়ারি) শুরু হয়েছে কুয়াশায়। সঙ্গে হাঁড়ে কাঁপন ধরানো শীত আর ঠাণ্ডা বাতাস। ভোর থেকে বেশ বেলা পর্যন্ত রাস্তাঘাট ফাঁকাই ছিল। তার ওপর শীত আর কুয়াশা মিলে ম্লান করে দিয়েছে নগরের ব্যস্ততা।
গত তিন দিন ধরে শুধু পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শৈত্যপ্রবাহ ছিল। আবহাওয়া অধিদপ্তর এই পূর্বাভাস দিয়েছে, আজ থেকে আবার তাপমাত্রা কমে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ এবং যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। সারা দেশের রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে আসতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, আজ শুরু হওয়া শৈত্যপ্রবাহ চলবে পাঁচ–ছয় দিন পর্যন্ত। তবে তা একই সঙ্গে সারা দেশে বিস্তৃত নাও হতে পারে। মূলত উত্তরাঞ্চল ও উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলে শীতের অনুভূতি বেশি থাকতে পারে। আকাশে মেঘ না থাকায় দিনের বেলা সূর্যের আলো পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই তখন শীতের অনুভূতি কম থাকতে পারে। তবে শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে শীত বেশি থাকতে পারে।
গতকাল দেশের বেশির ভাগ এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও দুপুর বাদে বেশির ভাগ সময় শীত ছিল। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায়, ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অনেক জেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে মৃদু বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ঈশ্বরদীতে, ৪ মিলিমিটার। তবে আজ বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বাংলাদেশে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীত মৌসুম ধরা হয়। তবে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে বাংলা পঞ্জিকার মাঘ মাসের শুরুতে বরাবরই শীতের তীব্রতা বাড়ে।
এবারের শীত মৌসুমে ডিসেম্বরের শেষ দিকে দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায় দেশের বিভিন্ন এলাকায়। জানুয়ারির প্রথম সেপ্তাহেও ছিল এক দফা, এবারের শৈত্যপ্রবাহ হবে এ মৌসুমের চতুর্থ।
গত ২৯ ডিসেম্বর তেঁতুলিয়ায় থার্মোমিটারের পারদ নেমেছিল ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ মৌসুমে এটাই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আর নতুন বছরের শুরুতে ৭ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। আর তাপমাত্রা ৬-৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে।