মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার জয়চন্ডী ইউনিয়নে অবস্থিত উত্তর কুলাউড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে গাদাগাদি করে বসতে হচ্ছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে মানবিক, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান এই তিনটি শাখায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১৮ জন শিক্ষকের মধ্যে এমপিওভুক্ত ১২ জন, এমপিওভুক্ত ছাড়া পাঁচ জন ও স্কাউট শিক্ষক একজন কর্মরত আছেন। আরও তিনটি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
জানা যায়, ১ একর ৪৬ শতক ভূমির ওপর অবস্থিত বিদ্যালয়টিতে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ভোকেশনাল কোর্স চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিদ্যালয় প্রধান মো.মাহমুদুর রহমান জানান, গত ১৫ এপ্রিল ২০১৯ একটি পুরোনো ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করে শিক্ষা অধিদপ্তর সিলগালা করে দেয়। ঐ বিজ্ঞান ভবনের তিনটি কক্ষে ২৪০ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করা হতো। ফলে বর্তমানে তাদেরকে অন্যত্র সরিয়ে গাদাগাদি করে পাঠদান করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়ের চাহিদা বিবেচনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি ভোকেশনাল ভবন নির্মাণের জন্য চলতি বছর প্রায় ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ করে। এই টাকা দিয়ে ভোকেশনাল ভবন নির্মাণ না করে একতলা একটি ভবনকে ঊর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ করা হয়। ফলে বরাদ্দের কিছু টাকা উদ্ধৃত থেকে যাবে বলে বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
শিক্ষা দপ্তরের জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আসন সংকট রয়েছে। বিদ্যালয়ে একটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তা সিলগালা করা হয়েছে। আগামীতে আরও একটি ভবন করার সম্ভাবনা রয়েছে।