বর্তমান সরকার শিক্ষা ও শিক্ষক বান্ধব সরকার। শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপ্লব সৃষ্টির লক্ষ্যে এ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ভূয়সী প্রশংসার দাবিদার। শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য গৃহীত পদক্ষেপদগুলোর মধ্যে অন্যতম হল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারি করা। বিশেষত বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছেন। এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
এরপরই যে সমস্ত উপজেলায় সরকারি বিদ্যালয় ও কলেজ নেই, সে সব উপজেলায় একটি করে বিদ্যালয় ও কলেজ সরকারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং তা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া প্রায় শেষের পথে। কিন্তু মাদরাসা সরকারিকরণের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় মাদরাসা শিক্ষকগণ হতাশায় ভুগছিলেন এবং এটিকে বিমাতাসূলভ আচরণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। হঠাৎ করে দৈনিক শিক্ষা.কমের মাধ্যমে অবগত হলাম, মাদরাসা সরকারিকরণ শুরু হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে আনন্দের খবর। এজন্য সরকারকে, বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
তবে কেবল রাজনৈতিক বিবেচনাকে ভিত্তি না করে একটি নীতিমালার আলোকে সরকারিকরণের জন্য মাদরাসা বাছাই করা দরকার। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রস্তাবনা হলো, যে সব মাদরাসা জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৮-তে বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হয়েছে, সে সব মাদরাসাকে আগে বিবেচনা করা হোক। তারপর জেলা পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ মাদরাসা, এরপর উপজেলা পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ মাদরাসমূহকে জাতীয়করণ করা হোক। কারণ ১৪টি ইনডিকেটরের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ মাদরাসা বাছাই করা হয়েছে। কাজেই শ্রেষ্ঠ হিসেবে সনদপ্রাপ্ত মাদরাসাকে বাদ দিয়ে যদি অন্য প্রতিষ্ঠানকে সরকারি করা হয় তবে তা হবে সনদের অবমূল্যায়ন এবং দুঃখজনক। বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো।
লেখক : অধ্যক্ষ, শংকরবাটী হেফজুল উলুম এফ. কে. কামিল মাদরাসা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন]