চুয়াডাঙ্গায় মধ্যরাতে ঘরে ঢুকে স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার সময় বাধা দিতে গিয়ে বখাটের ছুরিকাঘাতে ওই ছাত্রীর মামা হাসান আলী নিহত হয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আমিরপুর গ্রামে শুক্রবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় স্কুলছাত্রীর মামা হাসান আলী ছাড়াও তার নানা শারীরিক প্রতিবন্ধী হামিদুর রহমান গুরুতর জখম হয়েছেন।
অন্যদিকে প্রতিবেশীদের হাতে গণপিটুনিতে নিহত হয় হামলাকারী বখাটে আকবর আলীও। তিনি দামুড়হুদা উপজেলার মদনা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আমিরপুর রেলগেটপাড়ার হামিদুর রহমানের বাড়িতে শুক্রবার রাতে সবাই ঘুমিয়ে ছিল। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বখাটে আকবর আলী ছুরি নিয়ে বাড়িতে ঢোকে।
এ সময় হামিদুরের ভাগ্নি ওই স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে আকবর। ছাত্রীটির চিৎকার শুনে ছুটে যান মামা হাসান আলী ও তার পিতা শারীরিক প্রতিবন্ধী হামিদুর রহমান।
এ সময় বখাটে আকবর তিনজনকে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তাদের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে বখাটে আকবরকে গণপিটুনি দেয়। সেখানেই নিহত হয় আকবর আলী।
মামা হাসান আলী ও নানা হামিদুর রহমানকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে হাসান আলীকে (২৫) মৃত বলে ঘোষণা করেন জরুরি বিভাগের ডাক্তার।
বৃদ্ধ হামিদুর রহমানকে (৬০) গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্কুলছাত্রীর শরীরেও কয়েকটি ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন আছে। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গণপিটুনিতে নিহত আকবর আলী (৪০) ছিল একজন সবজি ব্যবসায়ী। তিনি দামুড়হুদা উপজেলার মদনা গ্রামের বাসিন্দা হলেও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর গ্রামের আলম হোসেনের বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন এবং ফেরি করে সবজি বিক্রি করতেন।
আকবর শুক্রবার রাতে একই গ্রামের আরেক বাড়িতে ঢুকে এক নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। সেখান থেকে তাড়া খেয়ে ওই স্কুলছাত্রীর ঘরে ঢুকে তাণ্ডব চালায় বলে গ্রামের লোকজন জানান।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ খান জানান, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।