করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় ‘সংসদ টেলিভিশনে’ ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিষয়ভিত্তিক শিক্ষাদান শুরু হবে আগামী ২৮ মার্চ থেকে। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভাশেষে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো: মাহবুব হোসেনসহ পাঁচ/ছয়জন উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে এটুআই এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। সহযোগীতা করবে ব্যানবেইসসহ অন্যান্যরা। দৈনিক শিক্ষার ইউটিউবেও এসব পাঠদান দেখা যাবে।
তবে, আজ ২৪ মার্চ পরীক্ষামূলকভাবে শ্রেণি কার্যক্রম প্রচার শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি আজ (২৪ মার্চ) থেকে। এটুআই কর্মকর্তারা দৈনিক শিক্ষাকে জানান, আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে শুরু বুধ ও পরশু বৃহস্পতিবার এ কার্যক্রম প্রচার করা হবে। সফল হলে ২৮ মার্চ থেকে।
এদিকে শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, ২৮ মার্চ থেকে শুরু করার জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়নি।
যতদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ততদিনই টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। দীর্ঘসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে বাসায় অবস্থান করেই ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারে সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই সংসদ টেলিভিশনে রেকর্ড করা শিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রচারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে প্রতিদিন সাতটি করে প্রতিসপ্তাহে ৩৫টি ক্লাস প্রচার করা হবে। শিক্ষার্থীরা বাসায় বসেই টেলিভিশনে নিজ নিজ বিষয়ের ওপর অভিজ্ঞ শিক্ষকদের দেয়া শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘এ টু আই’ প্রকল্পের কারিগরি সহায়তায় মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের এই একাডেমিক কার্যক্রম প্রচার হবে।
আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলসহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের ঘরে থেকে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
এদিকে শিক্ষকদের শ্রেণি পাঠের ক্লাস কার্যক্রম ভিডিও করে টেলিভিশনে প্রচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিতে বহিরাগতের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ ফসিউল্লাহ বলেছেন, ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ভাল মানের শিক্ষকদের শ্রেণি পাঠের ক্লাস কার্যক্রম ভিডিও করে টেলিভিশনে প্রচার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।