করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে চলছে অঘোষিত লকডাউন। সব অফিস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সবাইকে নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করার কড়া নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন। আর সঙ্গরোধ নিশ্চিত করতে জনগণকে সহায়তা করছে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ। ক্রান্তিকালেও গ্রাহকেরা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ, কেনাকাটার মতো কাজ করতে পারছেন বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে। আর বিকাশে টাকা ফুরিয়ে গেলেও অসুবিধা হচ্ছে না। কারণ ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বিকাশ কাস্টমার অ্যাকাউন্টে ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারছেন মুহূর্তেই। যে কোনো ভিসা কার্ড থেকে এখন খুব সহজেই কোনো ধরনের চার্জ ছাড়াই বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা আনা যাচ্ছে। আর করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সাধারণকে জানাতে এবং এর প্রতিরোধে সহায়তা করতে বিকাশ অ্যাপে সংযোজন করা হয়েছে ‘করোনা ইনফো’ মেন্যু।
জনস্বার্থে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বিকাশ। এর মধ্যে অন্যতম হলো বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তা সংগ্রহ। করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ফাউন্ডেশনটি। তহবিল সংগ্রহ সহজ করতে বিকাশ অ্যাপের সাজেশন বক্সে সরাসরি যুক্ত হয়েছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের লোগো। এতে সহজেই বিকাশের গ্রাহকেরা সহায়তা করতে পারছেন। একইভাবে আরও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, ক্লাব এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান করোনা পরিস্থিতিতে জনসেবামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় আর্থিক সহায়তা বিকাশের মাধ্যমে সংগ্রহ করছেন।
বিদ্যুৎ বিল পে :
দেশের যেখানেই থাকুন, ঘরে বসেই আপনার বিদ্যুৎ বিল বিকাশ করতে পারবেন নিশ্চিন্তে। ঝুকি নিয় লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা নেই। বিকাশ অ্যাপ থেকে বিদ্যুৎ বিল দিলেই বিলের রিসিট সরাসরি আপনার মোবাইলে পেয়ে যাবেন। প্রথমবার বিকাশ অ্যাপ থেকে বিদ্যুৎ বিল (নির্দিষ্ট বিলার) দিলেই পাবেন ২০ টাকা ক্যাশব্যাক। বিকাশ অ্যাপ থেকে পে বিল একদম ফ্রি! এছাড়াও *247# ডায়াল করে বিল দিতে পারবেন। পল্লীবিদ্যুৎ, ডেসকো, নেসকো, ডিপিডিসি, বিপিডিবি ও ওয়েস্ট জোনের গ্রাহকরা সহজেই বিকাশের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল দিতে পারছেন।
মোবাইল রিচার্জ :
কোনো ঝামেলা ছাড়াই গ্রাহকরা বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে মোবাইল রিচার্জ করতে পারছেন। শুধু নিজের মোবাইলেই নয়, অন্যদের মোবাইলেও রিচার্জ করা যাচ্ছে। বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে এ প্রক্রিয়া আরও সহজ। একজন গ্রাহক বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে সব গ্রামীনফোন, বাংলালিংক, টেলিটক, রবি এবং এয়ারটেল নাম্বারে মোবাইলের ব্যালেন্স রিচার্জ করতে পারবেন।
বিকাশে কেনাকাটা :
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধ কেনায় কোনো মাশুল নিচ্ছে না বিকাশ। এই বিশেষ পরিস্থিতিতে জরুরি সেবা হিসেবে বিকাশের সব সেবা নিরবচ্ছিন্ন, নির্বিঘ্ন এবং নিরাপদ রাখতে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন বিকাশের সব কর্মী। এজেন্ট পয়েন্টগুলোতে নগদ টাকা এবং ডিজিটাল মানি সরবরাহও নিশ্চিত করা হয়েছে। বিকাশ গ্রাহকেরা এই জরুরি সময়ে যে কোনো ধরনের সমস্যা সমাধানে ‘কাস্টমার সার্ভিস’ সেবা পাচ্ছেন। ১৬২৪৭ নম্বর, বিকাশের ফেসবুক পেজ, লাইভ চ্যাট এবং ই–মেইলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিকভাবে গ্রাহকদের সেবা দেওয়া হচ্ছে।
জনস্বার্থে বিকাশ ;
বিকাশের মতো বহুল ব্যবহৃত মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সাধারণকে জানাতে এবং এর প্রতিরোধে সহায়তা করতে উদ্যোগ নিয়েছে এটুআই সহ সরকারের কয়েকটি সংস্থা। এজন্যে তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য ও করণীয় বিষয়ে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করতে বিকাশ অ্যাপ এর মেনু তে যোগ হল “করোনা ইনফো”। এই লোগোতে ক্লিক করলেই –সর্বশেষ আপডেট, হটলাইন নম্বর, করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নির্ণয় করুন, সম্ভাব্য করোনা আক্রান্তের তথ্য দিন এবং স্বেচ্ছাসেবক হোন শিরোনামে সাব-মেনু পাবেন গ্রাহক। এখান থেকে প্রয়োজনীয় মেন্যুতে ক্লিক করে সরাসরি এটুআই ওয়েবসাইট থেকে সর্বশেষ আপডেট পাবেন।
অ্যাকাউন্টে টাকা শেষ হলেও ঝামেলা নেই :
যে কোনো ভিসা কার্ড থেকে এখন খুব সহজেই কোনো ধরনের চার্জ ছাড়াই বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা আনা যাচ্ছে। বিকাশের অ্যাড মানি সেবায় দেশের লাখ লাখ গ্রাহক বাংলাদেশের যে কোনো ব্যাংকের ইস্যুকৃত ভিসা ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড থেকে মুহুর্তেই বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা আনতে পারছেন। এ সেবায় প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে শীর্ষ স্থানীয় বেসরকারি ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল)। বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা আনতে বিকাশ অ্যাপের অ্যাড মানি অপশন থেকে কার্ড টু বিকাশ এবং ভিসা নির্বাচন করে, ভিসা কার্ডের তথ্য সংযুক্ত করে, টাকার পরিমাণ, ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) ও বিকাশ পিন দিয়ে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে এবং তাৎক্ষণিকভাবেই টাকা বিকাশ অ্যাকাউন্টে চলে আসবে। পরবর্তী সময়ে সহজ, নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্নভাবে ভিসা কার্ড থেকে টাকা আনার সুবিধার্থে গ্রাহক চাইলে একটি বা একাধিক ভিসা কার্ডের তথ্য বিকাশ অ্যাপে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন। চলমান জরুরি পরিস্থিতিতে গ্রাহকরা এজেন্ট পয়েন্ট গিয়ে ক্যাশইন না করে ভিসা কার্ড থেকে সরাসরি বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা নিয়ে আসতে পারবেন এবং তা প্রয়োজন অনুযায়ী খরচ করতেও পারবেন।
এছাড়া ব্যাংক থেকে ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর জন্য প্রথমে বেনিফিশিয়ারি হিসেবে বিকাশ অ্যাকাউন্ট অ্যাড করতে হবে এবং তারপর ফান্ড ট্রান্সফার করতে হবে।