সনদ জালিয়াতি করে ছাত্রীকে বিয়ে! - দৈনিকশিক্ষা

সনদ জালিয়াতি করে ছাত্রীকে বিয়ে!

নওগাঁ প্রতিনিধি |

অভিনব কৌশলে জন্মসনদ জালিয়াতি করে এক কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে বিয়েবাড়িতে গেলেও ভুয়া সনদ দেখিয়ে প্রশাসনের চোখেও দেয়া হয়েছে ধুলো। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতায় এ জালিয়াতি সংগঠিত হয়েছে। ছাত্রীর সহপাঠীদের অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য। এদিকে জন্মসনদে বয়স বদলিয়ে বাল্য বিয়ে দেয়ার কোন কার্যকর পদক্ষেপও নিতে পারছেন না প্রশাসনের কর্তারা। 

সম্পতি নওগাঁর রানীনগর উপজেলা প্রশাসন একটি বাল্য বিয়ের হচ্ছে বলে খবর পায় উপজেলা প্রশাসন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে উপজেলার গোনা ইউনিয়নের ঘোষগ্রামে কনে হাফিজা বানুর বাড়িতে যান কর্মকর্তারা।  সে সময় কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনকে জন্ম সনদ দেখানো হয়। যে জন্ম সনদে কিশোরীর বয়স বিবাহ যোগ্য দেখানো হয়েছে। ফলে উপজেলা প্রশাসন কোন আইনানুগ পদক্ষেপ না নিয়েই ফিরে আসেন। এরপর ধুমধাম করেই শেষ হয় বিয়ে।  

এরপরই ঘটনাটি অনুসন্ধানে নামেন কয়েকজন নওগাঁ সরকারি কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীরা। তারা, হাফিজা বানুর সঠিক বয়স জানতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে তারা পৃথক দুটি জন্ম সনদ আবিস্কার করেন। একটি সনদ অনুযায়ী ছাত্রীর বয়স ১৮ দেখানো হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রেকর্ডপত্র ও জন্মসনদে তার বয়স ১৬।

অভিযোগ আছে, একইভাবে বিবাহ রেজিষ্টার কাজিদের পরামর্শে ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতায় জন্ম সনদে বয়স বাড়িয়ে প্রশাসনের চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে একের পর এক বাল্য বিয়ে হচ্ছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল হাসমত দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এই জন্ম সনদ আমি প্রদান করিনি ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে যিনি চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি হয়তোবা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবো না। এক‌টি জন্ম সনদ ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে ইস্যু করা আর অন্যটি ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ইস্যু করা হয়েছে জানালে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি।

রানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বাল্যবিবাহের অভিযোগের ভিত্তিতে বিয়ে বাড়িতে আমি গিয়েছিলাম কিন্তু মেয়েপক্ষ আমাদের একটি জন্ম সনদ দেখায় তাতে মেয়ে বিবাহ যোগ্য। পরে যখন জানতে পারি এটি ভুয়া ছিল তখন স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জবাব দেয়ার জন্য লিখিতভাবে বলা হয়েছে।

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0052139759063721