চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যের ছেলে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মারুফ হোসেন (২৫) তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ছাত্রীটি উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ে।
বৃহস্পতিবার মারুফকে প্রধান ও এক সহযোগীসহ দুইজনকে আসামি করে সন্দ্বীপ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা।
মারুফের পিতা ছাত্রীটির স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির প্রভাবশালী সদস্য আবদুর রবের ছেলে বলে জানা গেছে।
ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ডিসেম্বর মাসের শেষদিকে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলার একটি রুমে ধর্ষণ করে। বিষয়টি পরিবারে জানাজানি হলে ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়ে ছাত্রী ধর্ষণের মতো কোনো ঘটনা এতদিন শুনিনি বা আমাকে কেউ জানায়নি।
সন্দ্বীপ থানার ওসি শেখ শরিফুল আলম জানান, বৃহস্পতিবার ছাত্রীর বাবা ধর্ষণের অভিযোগ আনলে আমরা তা গ্রহণপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, স্কুলের দোতলায় ক্লাসরুম ভেঙ্গে একটি বিলাসবহুল মনোরঞ্জন রুম বানানো হয়েছিল। সেখানে এয়ারকন্ডিশনও লাগানো হয়েছে। কতিপয় কথিত গণ্যমান্য ব্যক্তিরা নাকি ওই কক্ষে প্রায় আসা-যাওয়া করতেন এয়ারকন্ডিশনের বাতাস খেতে। আর ধর্ষণের ঘটনা ওই বিলাসবহুল কক্ষেই ঘটেছে।
এ দিকে গত ৪ দিনেও আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। উল্টো ভিকটিমকে থানা হেফাজতে নিয়ে নানা ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এমনকি মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে, সন্দ্বীপের একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা প্রকাশ্যে ওই আসামির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এ কারণে নাকি পুলিশ অ্যাকশনে যাচ্ছে না।
সন্দ্বীপের সাধারণ বাসিন্দা ও স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি অবিলম্বে আসামিকে গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে লাগাতার আন্দোলন শুরু করবে ছাত্র-জনতা।
সন্দ্বীপের শান্তিপ্রিয় মানুষ পুলিশের পক্ষে আছে জানিয়ে ওই বিদ্যালয়ের এক ছাত্র বলে, তারা শুনেছে প্রভাবশালীদের কেউ কেউ নাকি ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে থানায় তদবির করছে।