দেশের সবগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অচিরেই দুটি করে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরসহ ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপনের সময় এই ঘোষণা দেন তিনি।
প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, “অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক গুণগত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করাই হবে আগামী অর্থবছরে আমাদের এ খাতের মূল কৌশল।
“৫০৩টি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় ইন্টারঅ্যাকটিভ ক্লাসরুম তৈরির কাজ চলমান আছে এবং অচিরেই আমরা সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুইটি করে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরসহ ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করতে যাচ্ছি।”
বাজেট বক্তৃতায় মুস্তফা কামাল বলেন, শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আমরা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য অ্যাসিসটিভ ডিভাইস তথা হুইল চেয়ার, ক্রাচ ও হিয়ারিং এইড সরবরাহ করেছি।
“পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের নিজন্ব বর্ণমালায় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন এবং সংশ্লিষ্ট ভাষা জ্ঞানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।”
অর্থমন্ত্রী বলেন, এসবের পাশাপাশি দারিদ্রপীড়িত এলাকায় বিশেষ স্কুল ফিডিং, শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল প্রণয়ন, বিদ্যালয়গুলোতে আইসিটি ল্যাব স্থাপন ও কাব স্কাউটিং সম্প্রসারণের মতো ব্যতিক্রমধর্মী কার্যক্রমও আমরা শুরু করেছি, যা আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরেও অহ্যাহত থাকবে।
শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য বাজেটে ৮৫ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী; যা মোট বাজেটের ১৫ দশমিক ১ শতাংশ।
আসছে অর্থবছরের জন্য শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ জিডিপির ২.৭০ শতাংশের সমান; বিদায়ী অর্থবছরে যা ছিল ২.৭৫ শতাংশ।
২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ২৪ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে ৩৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকা এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগকে ৮ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে ১৭ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগকে ১ হাজার ৪১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।