মাদরাসাসহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সম্প্রতি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুষ্ঠিত এক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা অধিদপ্তর ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেবে। শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, গত ৫ জানুয়ারি শিল্পকলা একাডেমি অনুষ্ঠিত এক আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায়, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে যথানিয়মে ও সঠিক মাপের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২০ উদযাপন এবং যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচির সাথে সঙ্গতি রেখে মাদরাসাসহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাতে কর্মসূচি প্রণয়ন পূর্বক দিবসটি উদযাপনের ব্যবস্থাগ্রহণ করে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ও মাদরাসাগুলোতে যাতে দিবসটি যথাযথভাবে উদযাপন করা হয়, সে বিষয়ে বিশেষভাবে তত্ত্বাবধায়ন করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে বলেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সভায়।মন্ত্রণালয় সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও জানায়, সরকারের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকে জানায়, মাদরাসাসহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের নির্দেশনাসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠি আমরা পেয়েছি। নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করতে দেশের সব মাদরাসার অধ্যক্ষ বা সুপার ও গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কাছে পাঠানো হয়েছে।