নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে স্থানীয় হাইজাদীর সিংহদী এমএ মোতালিব ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এমএ মোতালিব ভূঁইয়া ও একই বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আফানুর হক পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা করেছেন। প্রথম রিট মামলাটি নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সহকারী জজ কোর্টে করেছেন আফানুর হক। গতকাল দুপুরে দ্বিতীয় মামলাটি আড়াইহাজার থানায় করেছেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এমএ মোতালিব ভূঁইয়া। থানার ওসি নজরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অভিযুক্ত আফানুর হককে পুলিশ শনিবার রাতে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। রোববার বিকালে তাকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। সে স্থানীয় পশ্চিম আতাদীর মৃত রমিজউদ্দিনের ছেলে। মামলার বিবরণ থেকে পাওয়া তথ্য মতে, ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ২রা জুলাই হতে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে মে পর্যন্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদে কর্মরত ছিলেন আফানুর হক।
তার কাছে বিদ্যালয়ের ফান্ডের আর্থিক হিসাব চাওয়া হলে তিনি বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কালপেক্ষণ করতে থাকেন। এ নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এক প্রকার অসন্তোষ দেখা দেয়। পরে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই থেকে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাব চাওয়া হলে তিনি সঠিক হিসাব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে মে তাকে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে, আফানুর হক প্রধান শিক্ষক থাকাকালে বিভিন্ন সময় ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এদিকে আফানুরের ভাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল বলেন, আমার ভাইকে একটি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের সভাপতির ভাতিজা সাদেকুর রহমানকে প্রধান শিক্ষকের পদে বসানোর জন্য আফানুর হককে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এদিকে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও হাইজাদীয় ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এমএ মোতালিব ভূঁইয়া বলেন, বিদ্যালয়ের ফান্ডের ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকার কোনো হিসাব দিতে পারছিল না সাবেক প্রধান শিক্ষক। আদায়কৃত অর্থ নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংকে জমার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক নিয়মের কোনো তোয়াক্কাই করেননি।