মিঠাপুকুরে বিদ্যালয়ের গাছ কেটে আত্মসাৎ করেছেন প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও কমিটির অন্য সদস্যরা। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও এলাকাবাসী ইউএনও বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার বড় হযরতপুর ইউনিয়নে অবস্থিত গিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় ফলদ ও বনজ বৃক্ষ। বিদ্যালয় সংস্কারের নাম করে চলতি মাসের প্রথম দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব আলী ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামছুল আলম শামীম কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে যোগসাজশ করে বড় বড় দুটি মেহগনি গাছ কেটে ফেলেন। এরপর গাছ বিক্রি করে টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উপজেলা গাছ কর্তন কমিটির কোনো অনুমতি নেয়নি।
অভিভাবক কৃষ্ণ চন্দ্র, রুহুল আমিন, বাদশা মিয়া ও সন্তোষ কুমার বলেন, বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের গাছগুলো কেটে সাবাড় করছেন। কেটে ফেলা গাছ দুটির বাজারমূল্য ২ লাখ টাকারও বেশি। এর আগেও তারা বিদ্যালয় মাঠের দুটি বড় আম ও জামগাছ কেটে আত্মসাৎ করেছেন।
একই কথা বলেন ছাইফুল ইসলাম, রোস্তম আলী, সাজেদুর রহমানসহ আরও অনেক অভিভাবক। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিভাবক ও এলাকাবাসী গণস্বাক্ষরযুক্ত একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব আলী বলেন, গাছ কেটে আত্মসাৎ নয়, বিদ্যালয়ের মেরামত কাজ করা হয়েছে। তবে উপজেলা গাছ কর্তন কমিটির অনুমতি না নিয়ে গাছকাটা ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামছুল আলম শামীম বলেন, ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ায় সেগুলো কাটা হয়েছে। আত্মসাতের অভিযোগ সঠিক নয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের তদন্ত করে ইউএনও স্যারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
ইউএনও মামুন ভূঁইয়া বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গাছ কর্তন কমিটির অনুমতি নেয়নি। এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।