চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কেওচিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে বিদ্যালয় তহবিলের প্রায় ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির চার সদস্য চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শিক্ষা বোর্ডে দেয়া অভিযোগ সূত্র জানা যায়, সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী খাতওয়ারি আয়-ব্যয় নিশ্চিত না করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোচিংয়ের নামে বিশেষ ‘ফি’ ও ‘জরিমানা’ আদায় করেছেন প্রধান শিক্ষক সুনীল কুমার। ২০১৬ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত এ খাত থেকে প্রায় ৩৪ লাখ টাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করে তা তছরুপ এবং আত্মসাৎ করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. নাসির উদ্দিনের যোগসাজশে এসব অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। ১ মার্চ শিক্ষা বোর্ডে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য কাজী মহিম উদ্দিন, আহমদ কবির, জাহাঙ্গীর আলম ও শিক্ষানুরাগী সদস্য জামাল হোসেন। পরে এ ঘটনায় গত ২৩ মার্চ শিক্ষা বোর্ডের উপ-কলেজ পরিদর্শক মোহাম্মদ হালিমকে প্রধান করে দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর সদস্য হলেন শিক্ষা বোর্ডের সহকারী সচিব মো. সাইফুদ্দিন।
শিক্ষা বোর্ডের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান উপ-কলেজ পরিদর্শক মোহাম্মদ হালিম বলেন, ‘কেওচিয়া স্কুল ফান্ডের ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২৪ মার্চ আমি চিঠি পেয়েছি কিন্তু ২৫ মার্চ থেকে সারা দেশে লকডাউন পড়ে যায়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তদন্ত শুরু করা যায়নি। অন্যদিকে অনিয়ম-দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে সুনীল কুমার বলেন, শিক্ষা বোর্ডে অর্থ আত্মসাতের একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমি বা সভাপতি কেউই এ অর্থ আত্মসাৎ করিনি।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রসঙ্গে মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমি একটি প্রাইভেট ব্যাংকে চাকরি করি। সম্মানের জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতে যুক্ত হয়েছি।