সভাপতির বিরুদ্ধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্পদ লুটপাটের অভিযোগ - দৈনিকশিক্ষা

সভাপতির বিরুদ্ধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্পদ লুটপাটের অভিযোগ

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি |

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার জামুন্না পল্লীবন্ধু হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ বিক্রি, পুকুরে মাছ চাষ, শ্রেণিকক্ষের আসবাব লুটসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। গভর্নিং বডির সভাপতি খোরশেদ আলম আড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।

এ ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বরখাস্ত অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে গত ১৭ ও ২১ আগস্ট রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড ও দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবর আলাদা দুটি অভিযোগ করা হয়েছে।

বরখাস্ত অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম জানান, নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছ থেকে ৪৫টি গাছ কাটার অনুমতি নিয়ে গভর্নিং বডির সভাপতি খোরশেদ আলম ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজমুন্নাহার অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্থান থেকে অতিরিক্ত ২১টি গাছসহ মোট ৬৬টি গাছ কেটেছেন, যার আনুমানিক মূল্য সাড়ে ছয় লাখ টাকা। গাছগুলো বিধি মোতাবেক মাইকিং করে বা পত্রিকায় দরপত্র প্রকাশ না করেই গোপনে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। শুধু তাই নয়, নতুন ভবনের জন্য পুরনো শ্রেণিকক্ষ ভেঙে ফেলা হলে তার টিন, ফ্যান, কাঠ ও বাঁশ সভাপতি বাড়িতে নিয়ে গেছেন। প্রতিষ্ঠানের পুকুরে সভাপতি নিজে মাছ চাষ করছেন। প্রভাবশালী হওয়ায় সভাপতির এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কেউ কোনো কথা বলতে সাহস পায় না।

সিরাজুল ইসলাম আরও জানান, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে একটি ফৌজদারি মামলায় খোরশেদ আলমকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি কোনো অবস্থাতেই ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হতে পারবেন না—এমন নির্দেশনা থাকলেও তিনি বহাল তবিয়তে কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত খোরশেদ আলম বলেন, মামলা মিটমাট হয়ে গেছে। আর অতিরিক্ত কোনো গাছ কাটা হয়নি। অনুমতি নেয়া ৪৫টি গাছের মধ্যে পাঁচ-ছয়টি গাছ এখনো কাটা বাকি আছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফুয়ারা খাতুনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হতে পারবেন না নিশ্চিত করে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোকবুল হোসেন জানান, অভিযোগের বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তথ্য গোপন করে কেউ কিছু করলে এর দায়দায়িত্ব তারই। অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0070362091064453