সুশিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। জাতি গঠনের কারিগর শিক্ষকরা। শিক্ষার্থীদের কোন পথ অবলম্বন করলে তাঁদের মেধার বিকাশ ঘটে—সেই উদ্দেশ্য সামনে রেখে ভবিষ্যতের জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তাঁর পরামর্শ উপেক্ষিত হলো পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কারণে। রোববার (১ মার্চ) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি একান্ত শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলতে চাই, রাষ্ট্রপতির পরামর্শ অগ্রাহ্য করে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের কর্ণধার হয়ে আপনারা যদি মান নিয়ে গর্বিত হন, তাহলে বিশ্বের সেরা মানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম কেন নেই? ৪৮ বছর অতিক্রান্ত হলো স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের। শিক্ষার্থীদের জন্য যে বরাদ্দ দেওয়া হলো, শিক্ষার মান উন্নয়নে কতটুকু ভূমিকা রাখছে এটাও লক্ষণীয় বিষয়। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা কোমলমতি শিশুদের গলায় এ+ মালা পরানোর জন্য শিক্ষার্থীদের মা-বাবা যেমন কোমলমতি শিশুদের ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করেন, তেমনি কোচিং বাণিজ্যের বাণিজ্যিক মনোভাবাপন্ন শিক্ষকরা বিজ্ঞাপন দিতেও ত্রুটি রাখেন না। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে সমন্বিত পরীক্ষার বিকল্প নেই।
লেখক: নিমাই কৃষ্ণ সেন, বাগেরহাট।