বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী বছর থেকে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা সাহসী ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সারা দেশ জুড়ে বিস্তৃত। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, এক সময় সমস্ত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কোনো দেয়ালঘেরা বাগান নয়। এটার বিস্তৃতি দিগন্ত মাঠজোড়া। এটা মুক্তবুদ্ধি চর্চার লালনক্ষেত্র। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের মান অনুযায়ী ভর্তিচ্ছুরা বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ করবে। যেমনটা হয়ে থাকে মেডিক্যালে ভর্তির ক্ষেত্রে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের আগে একাধিক বিষয় পছন্দ করা যায় এবং মেধাক্রম অনুসারে বিষয় বণ্টন করা হয়। বিসিএস পরীক্ষায়ও একইভাবে ক্যাডার বণ্টন করা হয়ে থাকে। সমন্বয়হীনতার কারণে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর অনেক আসন শূন্য থেকে যায়। এভাবে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে পরীক্ষা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়তো কিছু আয় কমবে, কিন্তু ভর্তিচ্ছুকদের হয়রানি বহুলাংশে কমবে। একটি স্বার্থান্বেষী মহল এর বিরোধিতা শুরু করেছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এর বাস্তবায়ন একান্ত দরকার।
লেখক: মো. জিল্লুুর রহমান, সতিশ সরকার রোড, গেণ্ডারিয়া, ঢাকা