জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পর প্রথমবারের মতো সমাবর্তনে প্রায় ১৯ হাজার গ্র্যাজুয়েট কালো গাউন পরে উল্লাস করতে মুখিয়ে আছে। জবি প্রথম সমাবর্তন হওয়ায় ব্যস্ত সময় পার করছে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সমাবর্তনকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে পুরো ক্যাম্পাসে। সমাবর্তনের স্থান ধূপখোলা মাঠে নির্মাণ করা হচ্ছে ১ লাখ ৫০ হাজার বর্গফিটের বিশালাকৃতির প্যান্ডেল।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জগন্নাথের প্রথম সমাবর্তনে স্নাতক ১১ হাজার ৮৭৭ জন, স্নাতকোত্তর ৪ হাজার ৮২৯, এমফিল ১১, পিএইচডি ছয় ও ইভেনিং প্রোগ্রামের ১৫৭৪ জন অংশ নেবেনে। এর মধ্যে ছেলে ১৩ হাজার ৭৬২ ও মেয়ে ৪হাজার ৫৫৫ জন। এতে ১৮ হাজার ৩১৭ জন শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেট তৈরি করতে হয়েছে। গত বছর ০১মার্চ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। এবারের সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০১২-২০১৩ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল, পিএইচডি ও সান্ধ্যকালীন ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীরা যারা অন্তত একটি ডিগ্রি জবি থেকে অর্জন করেছে তারাই অংশগ্রহণ করছে।
তবে সমাবর্তনে একজন শিক্ষার্থী কেবল একটি সনদের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পেরেছেন। যারা সুযোগ পেয়েও এ বছর সমাবর্তনে অংশগ্রহণ-আবেদন করেনি তারা আর কখনও সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাধিক ডিগ্রি অর্জনকারীরা সমাবর্তনের পর ডিগ্রির সনদ তুলতে পারবেন। সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেয়া সমাবর্তন গাউন শিক্ষার্থীদের ফেরত দিতে হচ্ছে না।
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে জানা যায়, সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারী গ্র্যাজুয়েটরা আগামী ৭, ৮ ও ৯ জানুয়ারি অফিস চলাকালীন (সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা) সময়ে স্ব-স্ব বিভাগ হতে কস্টিউম, ব্যাগ ও গিফট সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়াও গ্র্যাজুয়েটরা সমাবর্তনের দিন (১১ জানুয়ারি) বিকাল তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত, ১২ জানুয়ারি ও ১৩ জানুয়ারি সকাল নয়টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত স্ব-স্ব বিভাগ হতে মূল সনদ গ্রহণ করবেন। উল্লেখিত তারিখের মধ্যে কেউ সনদ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হলে পরবর্তী সময়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে মূল সনদ গ্রহণ করতে পারবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, সমাবর্তন শিক্ষার্থীদের একটা অধিকার। শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষার্থে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব সময় সচেতন। তবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় একটি সফল ও পরিপূর্ণ সমাবর্তন উপহার দিতে পারবো বলে আশা করছি।