গত এক দশকে দ্রুত সম্পদ বৃদ্ধিতে বিশ্বে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এ সময় এদেশে ধনীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। বাংলাদেশের পরই তালিকায় আছে ভিয়েতনাম।
‘ওয়েলথ এক্স কোম্পানি’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান ২০১০ থেকে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে। এ সময়ে বছরে ৫০ লাখ ডলার বা তার বেশি সম্পদ বেড়েছে বাংলাদেশের ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ লোকের। ভিয়েতনামে এই হার ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ। শীর্ষ দশে এর পরের অবস্থানে রয়েছে চীন (১৩ দশমিক ৫ শতাংশ), কেনিয়া (১৩ দশমিক ১ শতাংশ), ফিলিপাইন (১১ দশমিক ৯ শতাংশ), থাইল্যান্ড (১০ দশমিক ৬ শতাংশ), নিউজিল্যান্ড (৮ দশমিক ৭ শতাংশ), যুক্তরাষ্ট্র (৮ দশমিক ২ শতাংশ) পাকিস্তান (৭ দশমিক ৫ শতাংশ) ও আয়ারল্যান্ড (৭ দশমিক ১ শতাংশ)।
‘সম্পদের এক দশক’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামে এ সময়টাতে শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর নেপথ্যে ছিল তরুণ ও বিকাশমান শ্রমশক্তি। আঞ্চলিক উৎপাদন সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে এ দেশগুলোর সমন্বয়ও ছিল গভীরতর।
এ সময়টাতে আগের দশকের তুলনায় অতি ধনীর সংখ্যা বেড়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বিকাশমান সম্পদ বাজারের ১০টির মধ্যে ছয়টি এখন এশিয়ায়। গত এক দশকে বিশ্বে ধনী লোকের (যাদের প্রকৃত সম্পদ ১০ লাখ ডলার বা তার বেশি) সংখ্যা ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের দশকে ব্যাংকিং, ব্যবসা ও ভোক্তা সেবার ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি সম্পদের মালিক হয়েছেন। তবে আগামী বছরগুলোতে এ খাতে নেতৃত্ব দেবেন প্রযুক্তি ব্যবসায়ীরা। প্রযুক্তি ব্যবসায়ের মাধ্যমে অনেকে অতি ধনীতে পরিণত হবেন। করোনা মহামারির প্রভাব প্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের ওপর পড়বে না।