অসুস্থবোধ করায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে হৃদরোগ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। এর আগে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তাকে ঢামেকে আনা হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার জাহিদ জানান, সম্রাটকে ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকরা হৃদরোগ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পরামর্শ অনুযায়ী সম্রাটকে হৃদরোগ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে তারা ঢাকা মেডিকেল ত্যাগ করেছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সম্রাট কারাগারে অসুস্থবোধ করায় তাকে ঢামেকের জরুরি বিভাগে নিয়ে এসেছেন কারারক্ষীরা। পরে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে হৃদরোগ বিভাগে রেফার করেছেন।
সম্রাটের সঙ্গে থাকা কারারক্ষী মুজাহিদুল জানান, তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে কারারক্ষী ও পুলিশি পাহারায় তাকে ঢামেকে আনা হয়েছিল।
এর আগে শনিবার (৫ অক্টোবর) গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
ওই গ্রামের জামায়াত নেতা মনির চৌধুরীর বাড়ি থেকে সম্রাট ও আরমানকে আটক করা হয়। পরে তাদের সঙ্গে নিয়ে রোববার (০৬ অক্টোবর) দিনভর রাজধানীতে সম্রাট ও আরমানের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব।
এছাড়া মদ্যপ অবস্থায় পেয়ে আটকের সময়ই আরমানকে ছয়মাসের কারাদণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর কাকরাইলের কার্যালয়ে বন্যপ্রাণীর চামড়া সংরক্ষণের দায়ে সম্রাটকেও একই মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।
এরপর সম্রাটকে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। আর আরমানের জায়গা হয় কুমিল্লা কারাগারে।